November 13, 2025
দলগুলোকে প্রধান উপদেষ্টা জানিয়েছেন ডিসেম্বর থেকে আগামী জুনের মধ্যে নির্বাচন: প্রেস সচিব 

দলগুলোকে প্রধান উপদেষ্টা জানিয়েছেন ডিসেম্বর থেকে আগামী জুনের মধ্যে নির্বাচন: প্রেস সচিব 

মে ২৫, ২০২৫

বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে হঠাৎ পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস নির্বাচন, সংস্কার ও বিচার সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সঙ্গে পৃথকভাবে বৈঠক করেছেন। শনিবার রাত সোয়া ১০টার দিকে প্রেস সচিব শফিকুল আলম সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।

ভবিষ্যৎ নির্বাচনের সময়সীমা ও দৃষ্টিভঙ্গি

বৈঠকে আলোচনার কেন্দ্রে ছিল আগামী জাতীয় নির্বাচন। ড. ইউনূস আবারও তাঁর আগের প্রস্তাবিত সময়সীমা — ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে — নির্বাচনের ব্যাপারে জোর দিয়েছেন।

  • বিএনপি: ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন সম্পন্ন করার দাবি জানায়।
  • জামায়াতে ইসলামী: সংস্কার প্রক্রিয়া শেষ করতেই ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় লাগবে বলে মন্তব্য করে এবং ড. ইউনূস প্রস্তাবিত সময়সীমাকে সমর্থন জানায়।
  • এনসিপি: নির্বাচন বাস্তবায়নে একইভাবে সময়সীমা ও সংস্কারকে গুরুত্ব দিয়ে সমর্থন জানায়।

নির্বাচনী পরিবেশ ও সংস্কারের গুরুত্ব

জামায়াত ও এনসিপি উভয় দলই মনে করে, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশনে ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ এখনো অনুপস্থিত। তারা নির্বাচন কমিশনের সংস্কারকে জরুরি বলে উল্লেখ করে।
বিশেষ করে জামায়াত ও এনসিপি চায়, কমিশনের কাঠামো ও কার্যপদ্ধতিতে পরিবর্তন এনে সবার জন্য সমান সুযোগ তৈরি হোক।

জুলাই হত্যাযজ্ঞের বিচার

ড. ইউনূস বৈঠকে জানান, জুলাই হত্যাযজ্ঞের বিচার প্রক্রিয়া চলতি মাসেই শুরু হবে। তিনি আইনসম্মত ও দ্রুত বিচার সম্পন্ন করার বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে আশ্বস্ত করেন।

রাজনৈতিক পরিবেশ ও সমঝোতা

প্রেস সচিব বলেন, “বৈঠকগুলো খুবই সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে হয়েছে।” রাজনৈতিক দলগুলো তাদের নিজ নিজ অবস্থান তুলে ধরেছে এবং প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে পূর্ণ আস্থার কথা জানিয়েছে। অনেকে বলেছেন, বাংলাদেশের জনগণও তাঁর নেতৃত্বে নিরপেক্ষ নির্বাচনের প্রত্যাশা করে।

জুলাই সনদ ও সংস্কার প্রক্রিয়া

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বৈঠকে জানান, ২০ জুলাইয়ের মধ্যে সংস্কার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ‘জুলাই সনদ’ গ্রহণ করা হবে। এ লক্ষ্যে কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে।

রাজনৈতিক অচলাবস্থা নিরসনে এই বৈঠকগুলো একটি ইতিবাচক অগ্রগতি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। বিভিন্ন দল যেমন সময়সীমা ও সংস্কার বিষয়ে তাদের মতামত দিয়েছে, তেমনি তারা প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আস্থাও প্রকাশ করেছে। এখন মূল চ্যালেঞ্জ হলো, নির্বাচন কমিশনের কাঠামোগত সংস্কার এবং একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনী পরিবেশ নিশ্চিত করা, যাতে দেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন সম্ভব হয়।

Leave a Reply