
নির্বাচন ডিসেম্বরের মধ্যে হওয়া উচিত
সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান শিগগিরই একটি গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করে রাজনৈতিক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন। তিনি আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে তাঁর আগের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
বুধবার সকালে ঢাকা সেনানিবাসে অনুষ্ঠিত এক অফিসার্স অ্যাড্রেসে (অফিসারদের উদ্দেশে দেওয়া বক্তব্যে) তিনি এই মন্তব্য করেন। ঢাকার বাইরের বিভিন্ন ইউনিটের কর্মকর্তারা এ সভায় ভার্চুয়ালি অংশ নেন।
মূল বক্তব্যের পয়েন্টসমূহ:
- নির্বাচন ও রাজনৈতিক সরকার:
- ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন দরকার।
- গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারের কাছেই ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে।
- সেনাবাহিনী অন্তর্বর্তী সরকারকে সহযোগিতা করছে এবং করে যাবে।
- মানবিক করিডোর ও জাতীয় স্বার্থ:
- রাখাইন রাজ্যে মানবিক করিডোর সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নির্বাচিত সরকারকেই নিতে হবে।
- বিষয়টি জাতীয় স্বার্থ, বিশেষ করে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের সঙ্গে সম্পর্কিত।
- সেনাবাহিনীর নিরপেক্ষতা ও দায়িত্ব:
- সেনাবাহিনী সার্বভৌমত্বের পরিপন্থী কোনো কর্মকাণ্ডে যুক্ত হবে না এবং কাউকে যুক্ত হতেও দেবে না।
- সব পর্যায়ের সেনাসদস্যদের নিরপেক্ষ থেকে নির্বাচনকালীন দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেন।
- ঈদ উপলক্ষে জননিরাপত্তা নিশ্চিতে সহযোগিতার নির্দেশ।
- আন্তর্জাতিক ও জাতিসংঘের প্রতিক্রিয়া:
- জাতিসংঘের প্রতিবেদন সম্পর্কে সেনাবাহিনীর সঙ্গে কোনো আলোচনা হয়নি, মতামতও নেওয়া হয়নি।
- নির্যাতিতদের অধিকারে দৃঢ়ভাবে পাশে থাকার কথা বলেন।
- মব ভায়োলেন্স ও আইনশৃঙ্খলা:
- সাম্প্রতিক মব ভায়োলেন্স ও সহিংসতার ঘটনায় কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি।
- আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
- অভ্যন্তরীণ স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা:
- বরখাস্ত সেনাসদস্যদের বিষয়ে আইএসপিআরের মাধ্যমে তথ্য প্রকাশের প্রস্তাব আসে এক কর্মকর্তার পক্ষ থেকে।
- বন্দর ও স্থানীয় মতামত:
- বন্দর ইস্যুতে স্থানীয় জনগণ ও রাজনৈতিক নেতাদের মতামতের গুরুত্ব তুলে ধরেন।
- বলেন, এসব সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক সরকারের মাধ্যমেই হওয়া উচিত।
- সংস্কার প্রসঙ্গে:
- চলমান সংস্কার সম্পর্কে কোনো প্রাতিষ্ঠানিক অবহিতকরণ হয়নি বলে উল্লেখ করেন।
এই বক্তব্যে স্পষ্ট, সেনাপ্রধান একটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ও নির্বাচিত সরকারের মাধ্যমে রাষ্ট্র পরিচালনার পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন এবং সেনাবাহিনীর নিরপেক্ষ ভূমিকার প্রতি অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তবে, আইএসপিআর এখনো এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি।