July 8, 2025
ঢাকা থেকে উড্ডয়নের পরপরই তার্কিশ এয়ারের ইঞ্জিনে আগুনের স্ফুলিঙ্গ, জরুরি অবতরণ

ঢাকা থেকে উড্ডয়নের পরপরই তার্কিশ এয়ারের ইঞ্জিনে আগুনের স্ফুলিঙ্গ, জরুরি অবতরণ

মে ২০, ২০২৫

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে থেকে উড্ডয়ন করা তার্কিশ এয়ারলাইন্সের TK713 ফ্লাইট (মডেল: এয়ারবাস A330-303) উড্ডয়নের পরপরই বিপদের মুখে পড়ে। উড়োজাহাজটির একটি ইঞ্জিনে স্পার্ক (আগুনের স্ফুলিঙ্গ) দেখা দিলে পাইলট তাৎক্ষণিকভাবে জরুরি অবতরণের সিদ্ধান্ত নেন।

ঘটনাটি ঘটে মঙ্গলবার সকাল ৭টায়। ফ্লাইটটি তুরস্কের ইস্তাম্বুল অভিমুখে রওনা দিয়েছিল এবং তাতে ২৯০ জন যাত্রী ছিলেন। উড্ডয়নের প্রায় ১৫ মিনিট পর, পাইলট একটি ইঞ্জিনে অস্বাভাবিকতা লক্ষ্য করেন। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তিনি বিমানটি ঘুরিয়ে আনেন এবং আকাশে প্রায় দেড় ঘণ্টা চক্কর দিয়ে জ্বালানি খরচ করে সকাল সোয়া ৮টায় নিরাপদে জরুরি অবতরণ করান।

সম্ভাব্য কারণ: বার্ড হিট

বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এসএম রাগীব সামাদ জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এটি বার্ড হিটের (পাখির সাথে ধাক্কা) ফল হতে পারে। তিনি বলেন, “পাইলট পরিস্থিতি বুঝে তাৎক্ষণিকভাবে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নেন এবং যাত্রীদের নিরাপদে অফলোড করা হয়।”

যাত্রীদের নিরাপত্তা ও সেবা:

  • ২৯০ জন যাত্রী সবাইকে প্লেন থেকে নিরাপদে বের করে আনা হয়েছে।
  • তাদেরকে হোটেলে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছে এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ।
  • কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

সম্প্রতি আরেকটি ঘটনা:

এর মাত্র কয়েকদিন আগেই, ১৬ মে কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ঢাকাগামী বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইট উড্ডয়নের পর একটি ল্যান্ডিং গিয়ার (চাকা) খুলে নিচে পড়ে যায়। পাইলটের দক্ষতায় ফ্লাইটটি নিরাপদে অবতরণ করে। ওই ফ্লাইটে ৭১ জন যাত্রী ছিলেন, যাদের মধ্যে শিশুও ছিল।

সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের আকাশপথে একের পর এক এই ধরনের ঘটনা যাত্রীদের মধ্যে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। তবে উভয় ক্ষেত্রেই পাইলটদের দ্রুত সিদ্ধান্ত এবং দক্ষতায় বড় ধরনের দুর্ঘটনা এড়ানো গেছে। এ ধরনের ঘটনার পর বিমান পরিচালনাকারী সংস্থাগুলোর নিরাপত্তা মান, যন্ত্রপাতি পরীক্ষা এবং পাখি প্রতিরোধ ব্যবস্থার উন্নয়ন অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে।

Leave a Reply