ভারতের অপারেশন সিঁদুরের বিপরীতে পাকিস্তানের ‘বুনিয়ান-উন-মারসুস’
২০২৫ সালের ২২ এপ্রিল জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে এক ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন ভারতীয় পর্যটক নিহত হন। এই ঘটনার জন্য ভারত সরাসরি পাকিস্তানকে দায়ী করে এবং হামলাকারীদের সঙ্গে পাকিস্তানের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে দাবি করে। পাকিস্তান এ অভিযোগ অস্বীকার করলেও এই ঘটনার জেরে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছায়।
ভারতের প্রতিক্রিয়া: অপারেশন সিঁদুর
এই ঘটনার প্রতিশোধ হিসেবে ভারত মঙ্গলবার রাতে পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরসহ বিভিন্ন এলাকায় ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামে একটি গোপন সামরিক অভিযান চালায়। যদিও এই অভিযানের বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হয়নি, তবে এটিকে পাকিস্তানের অভ্যন্তরে সরাসরি সামরিক হস্তক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
পাকিস্তানের পাল্টা জবাব: অপারেশন বুনইয়ান উন মারসুস
ভারতের অভিযানের জবাবে পাকিস্তান ‘অপারেশন বুনইয়ান উন মারসুস’ চালায়, যার অর্থ ‘সুদৃঢ় প্রাচীর’। এই অভিযানে পাকিস্তান একযোগে ভারতের ১১টি গুরুত্বপূর্ণ সামরিক স্থাপনায় হামলা চালায়। উল্লেখযোগ্যভাবে ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলার মাধ্যমে এসব স্থাপনা আঘাত করা হয়। এ অভিযানে ব্যবহৃত অস্ত্র ও টার্গেটগুলি নিম্নরূপ:
- ক্ষেপণাস্ত্র: পাকিস্তানি প্রযুক্তিতে তৈরি ফাতাহ-১ ক্ষেপণাস্ত্র (রেঞ্জ ১২০ কিমি)
- বিমান: পাকিস্তানের জেএফ-১৭ যুদ্ধবিমান
- টার্গেট:
- পাঠানকোট, উধামপুর, গুজরাট, রাজস্থান, ও আদমপুর বিমান ঘাঁটি
- ভারতের এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা (আদমপুরে মোতায়েন ছিল)
- ব্রাহ্মোস ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের একটি সংরক্ষণাগার
- উরি শহরে ভারতীয় সেনার ব্রিগেড হেডকোয়ার্টার ও রসদ ডিপো
- নাগরোটা শহরের আর্টিলারি ব্যাটারি
পাকিস্তান এই অভিযানে ভারতের এস-৪০০ সিস্টেম ধ্বংস করাকে তাদের সবচেয়ে বড় সাফল্য হিসেবে উল্লেখ করেছে।
রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক প্রভাব
এই পাল্টাপাল্টি সামরিক অভিযান দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধাবস্থার শঙ্কা জাগিয়ে তুলেছে। দুই পক্ষই কাশ্মীর ইস্যুকে কেন্দ্র করে একে অপরকে দায়ী করছে এবং নিজেদের প্রতিরক্ষার কথা বলে আক্রমণকে বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা করছে।
এই পরিস্থিতি দক্ষিণ এশিয়ায় দীর্ঘদিনের এক অমীমাংসিত ভূরাজনৈতিক দ্বন্দ্বের নতুন মাত্রা যোগ করেছে। কূটনৈতিক আলোচনার পথ পরিহার করে সরাসরি সামরিক পদক্ষেপ গ্রহণ, বিশেষ করে আধুনিক অস্ত্রের ব্যবহার, গোটা অঞ্চলের জন্য একটি বিপজ্জনক দৃষ্টান্ত স্থাপন করছে।
