
ভারতকে উপযুক্ত জবাব দিয়েছে পাকিস্তান: শাহবাজ শরিফ
ভারতের সাম্প্রতিক হামলার প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তান ‘উপযুক্ত জবাব’ দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। রাষ্ট্রপতি আসিফ আলী জারদারি, পিটিআই চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার গোহর এবং অন্যান্য রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে ফোনালাপে তিনি এই বক্তব্য দেন।
প্রধানমন্ত্রীর ভাষ্য অনুযায়ী, ভারত ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার মাধ্যমে পাকিস্তানের ভূখণ্ডে আঘাত হানে। তবে এসব উসকানিমূলক হামলার পরও পাকিস্তান শুরুতে চরম সংযম প্রদর্শন করেছে। শরিফ বলেন, “নিরীহ নাগরিকদের প্রাণহানির বদলা নেওয়া হয়েছে এবং ভারতকে কঠিন জবাব দেওয়া হয়েছে।”
পাকিস্তানের পাল্টা অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে “বানিয়ান মারসুস”। এ অভিযান ভারতীয় সামরিক ঘাঁটিগুলোর বিরুদ্ধে পরিচালিত হয়েছে, যেগুলো থেকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আগ্রাসন শুরু হয়েছিল বলে দাবি করা হয়।
উত্তেজনা প্রশমনের বদলে শক্তি-প্রদর্শনের কৌশল
শাহবাজ শরিফের বক্তব্যে একটি দ্বৈত বার্তা স্পষ্ট: একদিকে পাকিস্তান নিজেকে ‘সংযত ও দায়িত্বশীল’ রাষ্ট্র হিসেবে তুলে ধরছে, অন্যদিকে শক্ত প্রতিক্রিয়ার বার্তা দিয়ে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক মহলে নিজেদের অবস্থান দৃঢ় করছে।
এই ধরনের কূটনৈতিক ও সামরিক প্রতিক্রিয়া দক্ষিণ এশিয়ায় ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের নাজুক বাস্তবতাকে আরও গভীর করে তোলে। অতীতে দেখা গেছে, সীমান্ত সংঘাতের ঘটনা প্রায়ই যুদ্ধের মতো বৃহৎ সংঘাতের দিকে গড়িয়েছে, বিশেষ করে যখন উভয় দেশেই জাতীয়তাবাদী আবেগ তীব্র হয়ে ওঠে।
তবে রাজনৈতিক স্তরে ফোনালাপ ও নেতৃত্বদের মধ্যে আলোচনার ইঙ্গিত কিছুটা হলেও আশার জায়গা তৈরি করে। এটা বোঝায়, সংঘাতের মধ্যেও কূটনৈতিক চ্যানেলগুলো পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়নি
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য একদিকে জাতীয় সাহস ও প্রতিরক্ষা শক্তির বার্তা দেয়, অন্যদিকে ভারতের সঙ্গে চলমান উত্তেজনাকে নতুন মাত্রা দেয়। দক্ষিণ এশিয়ার দুই পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্রের মধ্যে এমন পাল্টাপাল্টি বক্তব্য ও হামলা-প্রতিহামলা আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য উদ্বেগজনক। সংকট নিরসনে কূটনৈতিক পদক্ষেপ গ্রহণই হতে পারে স্থিতিশীলতার মূল চাবিকাঠি।