November 9, 2025
পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি বৈঠক ডেকেছেন শাহবাজ শরীফ

পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি বৈঠক ডেকেছেন শাহবাজ শরীফ

মে ১০, ২০২৫

ভারতের চালানো ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার জবাবে পাকিস্তান শুরু করেছে ‘অপারেশন বুনিয়ান-উন-মারসুস’ নামে একটি সমন্বিত সামরিক অভিযান। এই অভিযানের প্রেক্ষিতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ দেশটির ন্যাশনাল কমান্ড অথরিটি (NCA)-র জরুরি বৈঠক আহ্বান করেছেন। উল্লেখ্য, এনসিএ পাকিস্তানের সর্বোচ্চ কৌশলগত ও পারমাণবিক নীতিনির্ধারণী সংস্থা।

ভারতের আগ্রাসনের প্রেক্ষাপট

পাকিস্তান দাবি করেছে, ভারতের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় দেশটির তিনটি বিমানঘাঁটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই হামলার পরই পাল্টা প্রতিক্রিয়া হিসেবে চালানো হয় ‘অপারেশন বুনিয়ান-উন-মারসুস’ — যার অর্থ ‘সুদৃঢ় প্রাচীর’।

পাকিস্তানের পাল্টা হামলা

শনিবার ভোর থেকে শুরু হওয়া এই অভিযানে পাকিস্তান ভারতের একাধিক সামরিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে। পাকিস্তানি নিরাপত্তা বাহিনী এবং প্রতিরক্ষা সূত্রগুলো যে লক্ষ্যমাত্রাগুলোর কথা উল্লেখ করেছে, তা হলো:

  • পাঞ্জাবের বেয়াসে অবস্থিত ব্রাহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র সংরক্ষণাগার
  • উধমপুর, পাঠানকোট, আদমপুর বিমানঘাঁটি
  • জি-টপে অবস্থিত ভারতীয় সেনাবাহিনীর ব্রিগেড সদর দপ্তর
  • জম্মু-কাশ্মিরের উরির একটি রসদ ডিপো
  • দেহরাংগিয়ায় একটি ভারতীয় আর্টিলারি ঘাঁটি
  • নাগরোটার একটি ব্রাহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র সংরক্ষণাগার

এই হামলাগুলোতে পাকিস্তান তাদের নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি ‘আল-ফাতাহ’ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে। নিরাপত্তা সূত্র জানায়, এই ক্ষেপণাস্ত্রের নামকরণ করা হয়েছে ভারতের আগের হামলায় নিহত পাকিস্তানি শিশুদের স্মরণে।

ন্যাশনাল কমান্ড অথরিটি (NCA)-এর গুরুত্ব

পাকিস্তানের ন্যাশনাল কমান্ড অথরিটি হলো এমন একটি প্রতিষ্ঠান, যার আওতায় দেশটির পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচি, কৌশলগত বাহিনী ও সুরক্ষা ব্যবস্থা পরিচালিত হয়। বর্তমান পরিস্থিতিতে এনসিএ-র জরুরি বৈঠক আহ্বান করা একটি স্পষ্ট সংকেত যে, পাকিস্তান পরিস্থিতিকে কেবল প্রচলিত সামরিক উত্তেজনা নয়, বরং সম্ভাব্য কৌশলগত হুমকি হিসেবে বিবেচনা করছে।

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে এই সামরিক পাল্টাপাল্টি আক্রমণ দক্ষিণ এশিয়ায় চরম উত্তেজনার সৃষ্টি করেছে। উভয় দেশই আধুনিক প্রযুক্তির মিসাইল ও সামরিক রণনীতি ব্যবহার করে একে অপরকে প্রতিহত করার চেষ্টা করছে। এমন পরিস্থিতিতে কূটনৈতিক আলোচনা ও আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপ ছাড়া যুদ্ধাবস্থা এড়ানো কঠিন হয়ে পড়তে পারে। বিশেষ করে এনসিএ-র সক্রিয়তা পারমাণবিক কৌশলগত উত্তেজনার ইঙ্গিত দেয়, যা গোটা অঞ্চলের নিরাপত্তার জন্য গুরুতর হুমকি।

Leave a Reply