July 8, 2025
ঢাবিতে প্রভাষক পদে ফাইজুল হক ঈশানকে নিয়োগের নির্দেশ হাইকোর্টের

ঢাবিতে প্রভাষক পদে ফাইজুল হক ঈশানকে নিয়োগের নির্দেশ হাইকোর্টের

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগে এস এম ফাইজুল হক ঈশানকে প্রভাষক হিসেবে নিয়োগ সংক্রান্ত হাইকোর্টের রায় একটি গুরুত্বপূর্ণ বিচারিক সিদ্ধান্ত, যা বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও ন্যায্যতা নিশ্চিত করার দৃষ্টান্ত হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।

১. ঘটনার পটভূমি:
২০১৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগে তিনজন প্রভাষক নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। প্রার্থী হিসেবে এস এম ফাইজুল হক ঈশান আবেদন করেন এবং নির্বাচনী বোর্ডের বিবেচনায় তিনি প্রভাষক পদে “উপযুক্ত” হিসেবে নির্বাচিত হন। কিন্তু সিন্ডিকেট বোর্ড তাকে নিয়োগ না দেওয়ায়, ঈশান হাইকোর্টে রিট করেন।

২. আইনি অবস্থান ও আদালতের পর্যবেক্ষণ:
হাইকোর্ট পর্যবেক্ষণে উল্লেখ করেছে, নির্বাচনী বোর্ড যখন কাউকে উপযুক্ত মনে করে এবং সুপারিশ করে, তখন সিন্ডিকেটের দায়িত্ব হয় সেই সুপারিশ বাস্তবায়ন করা—যদি না কোনো যৌক্তিক ও সুনির্দিষ্ট কারণ থাকে। এই ক্ষেত্রে সিন্ডিকেট কোনো যৌক্তিক কারণ ব্যতীত ঈশানকে নিয়োগ দেয়নি, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্ডার ও স্ট্যাটিউটের লঙ্ঘন।

৩. সাংবিধানিক ও প্রশাসনিক গুরুত্ব:
এই রায় স্পষ্টভাবে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। রায়ের মাধ্যমে আদালত একদিকে যেমন প্রার্থীর মৌলিক অধিকার রক্ষা করেছে, অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক স্বচ্ছতাও নিশ্চিত করেছে।

৪. প্রভাব ও পরিণতি:
এই রায় অন্য বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য একটি নীতিগত দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারে। এতে বোঝানো হয়, প্রাতিষ্ঠানিক সিদ্ধান্তগ্রহণ প্রক্রিয়ায় ব্যক্তিগত পক্ষপাত বা অস্বচ্ছতা গ্রহণযোগ্য নয়।

এই রায় উচ্চশিক্ষার নিয়োগ প্রক্রিয়ায় আইনের শাসন ও নিয়মনীতি অনুসরণের ওপর জোর দিয়েছে। এস এম ফাইজুল হক ঈশানের পক্ষে রায় দিয়ে হাইকোর্ট নিশ্চিত করেছে যে, রাষ্ট্রীয় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানিক সিদ্ধান্তে স্বচ্ছতা, যুক্তিবোধ ও ন্যায়বিচার বজায় রাখা অপরিহার্য।

Leave a Reply