
ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করার শক্তি রাশিয়ার আছে: পুতিন
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানিয়েছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের লক্ষ্য পূরণে রাশিয়ার প্রয়োজনীয় শক্তি ও সম্পদ রয়েছে।
রোববার তিনি বলেন, পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার ছাড়াই এই লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব হবে বলে তিনি আশাবাদী।
পুতিনের ভাষ্য:
“ইউক্রেন আমাদের উসকানি দিতে চেয়েছিল, যাতে আমরা ভুল করি। তবে এখন পর্যন্ত পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের প্রয়োজন হয়নি। আশা করি, ভবিষ্যতেও হবে না।”
যুদ্ধের পটভূমি
- ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে পুতিন ইউক্রেনে হাজার হাজার সেনা পাঠান।
- এতে ইউরোপে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সবচেয়ে বড় স্থলযুদ্ধ শুরু হয়।
- এই যুদ্ধ শীতল যুদ্ধের পর মস্কো-পশ্চিমাদের মধ্যে সবচেয়ে বড় সংঘাতে রূপ নিয়েছে।
- এখন পর্যন্ত লক্ষাধিক সেনা হতাহত হয়েছেন।
যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব ও ইউক্রেনের প্রতিক্রিয়া
- পুতিন ৯ মে বিজয় দিবস উপলক্ষে তিন দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেন।
- তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি প্রস্তাবটি প্রত্যাখ্যান করে বলেন, “কমপক্ষে ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতি ছাড়া কোনো অর্থপূর্ণ আলোচনা সম্ভব নয়।”
তিনি পুতিনের প্রস্তাবকে “নাটকীয় প্রদর্শনী” হিসেবে বর্ণনা করেন।
রাশিয়ার পাল্টা হুঁশিয়ারি
- দিমিত্রি মেদভেদেভ, রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের ডেপুটি চেয়ারম্যান, বলেন: “৯ মে মস্কোয় যদি ইউক্রেন হামলা করে, তাহলে ১০ মে পর্যন্ত কিয়েভের অস্তিত্ব থাকবে—এমন কোনো গ্যারান্টি নেই।”
ড্রোন হামলায় কিয়েভে ক্ষয়ক্ষতি
- রাশিয়া শনিবার রাতভর ড্রোন হামলা চালায় কিয়েভে।
- এতে একাধিক আবাসিক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং শহরের বিভিন্ন স্থানে গাড়িতে আগুন ধরে যায়।
- ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী জানায়,
- রাত ১১টার পর থেকে শুরু হয়ে প্রায় এক ঘণ্টা ধরে
- কিয়েভ ও পূর্ব ইউক্রেনজুড়ে বিমান হামলার সতর্কতা জারি ছিল।