
ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ হই হই অবস্থা, প্রস্তুতি না নেওয়া আত্মঘাতী
ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা ও বাংলাদেশের নিরাপত্তা প্রস্তুতি
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার সাম্প্রতিক উত্তেজনা দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে স্পষ্টভাবে নড়বড়ে করে তুলেছে। এই প্রেক্ষাপটে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বক্তব্য বাস্তববাদী এবং কৌশলগত দৃষ্টিভঙ্গির পরিচায়ক। তিনি যুদ্ধবিরোধী মনোভাব প্রকাশ করলেও বলেন, প্রস্তুতি না থাকাটা আত্মঘাতী হতে পারে। এই বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি বাংলাদেশের নিরাপত্তা ও সামরিক প্রস্তুতির যৌক্তিকতা তুলে ধরেছেন।
বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর আধুনিকায়ন ও প্রস্তুতি
বিমানবাহিনীর অনুশীলন পরিদর্শনকালে ড. ইউনূস বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় একটি আধুনিক, পেশাদার এবং প্রযুক্তিগতভাবে সক্ষম বাহিনী গড়ে তোলার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। যুদ্ধবিমান, এয়ারক্রাফ্ট ক্যারিয়ার ও রাডার সংযোজনের প্রতিশ্রুতি ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার দিক নির্দেশ করে। এই পদক্ষেপ শুধু প্রতিরক্ষা খাতে নয়, আঞ্চলিক ভূরাজনীতিতেও বাংলাদেশের অবস্থানকে দৃঢ় করতে পারে।
বন্যা-ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য আবাসন প্রকল্প
প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর পুনর্বাসনে সরকারের উদ্যোগ মানবিক ও সময়োপযোগী। দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের চারটি জেলার তিনশ পরিবারকে নতুন ঘর প্রদান সরকারের দায়িত্বশীলতা এবং জনকল্যাণমূলক দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন। সেনাবাহিনীর মাধ্যমে ঘর নির্মাণ করানো এ প্রকল্পের নির্ভরযোগ্যতা ও গুণগত মান নিশ্চিত করে।
চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির নির্দেশনা
চট্টগ্রাম বন্দরের উন্নয়ন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনাগুলো বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে অবকাঠামো উন্নয়ন ও দক্ষ অপারেটর নিয়োগ জরুরি। দেশের নৌবন্দরগুলোর হ্যান্ডলিং ক্যাপাসিটি বাড়ানোর পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশের রপ্তানি-আমদানি কার্যক্রমে নতুন গতি আসবে।
ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার একদিকে যেমন সামরিক নিরাপত্তা বিষয়ে বাস্তবমুখী প্রস্তুতির কথা বলছে, তেমনি সামাজিক ও অর্থনৈতিক খাতেও সুনির্দিষ্ট কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। নিরাপত্তা, মানবিক সহায়তা এবং অর্থনৈতিক সক্ষমতা বৃদ্ধি—এই তিনটি স্তরে ভারসাম্যপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ রাষ্ট্র পরিচালনায় একটি পরিপক্ব ও দৃষ্টিভঙ্গিসম্পন্ন নেতৃত্বের পরিচয় বহন করে।