July 7, 2025
খালেদা জিয়া সোমবার দেশে ফিরতে পারেন, সঙ্গে ফিরবেন দুই পুত্রবধূ

খালেদা জিয়া সোমবার দেশে ফিরতে পারেন, সঙ্গে ফিরবেন দুই পুত্রবধূ

এপ্রি ৩০, ২০২৫

বাংলাদেশের রাজনীতির অন্যতম কেন্দ্রীয় চরিত্র, বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া বর্তমানে যুক্তরাজ্যে চিকিৎসাধীন। ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে কাতারের আমিরের পাঠানো বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তিনি লন্ডনে যান এবং সেখানকার লন্ডন ক্লিনিকে চিকিৎসা নেন। টানা ১৭ দিন হাসপাতালে থাকার পর তিনি বড় ছেলে তারেক রহমানের বাসায় অবস্থান করছেন। বর্তমানে তাঁর দেশে ফেরার প্রস্তুতি চলছে, যা রাজনৈতিক, পারিবারিক ও চিকিৎসা-ভিত্তিক একাধিক প্রেক্ষাপটকে সামনে নিয়ে আসছে।

চিকিৎসা পরিস্থিতি ও শারীরিক অবস্থা

৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে একাধিক জটিল শারীরিক রোগে ভুগছেন—বিশেষত লিভার সিরোসিস, হার্ট, কিডনি জটিলতা, ডায়াবেটিস ও আর্থ্রাইটিস। লন্ডন ক্লিনিকের চিকিৎসক দল তাঁর পূর্ণাঙ্গ ছাড়পত্র দেয়নি, তবে দেশে ফেরার অনুমতি দিয়েছে চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়ার শর্তে। তাঁর চিকিৎসা করছেন লিভার বিশেষজ্ঞ জন প্যাট্রিক কেনেডির নেতৃত্বাধীন মেডিকেল বোর্ড।

দেশে ফেরার প্রস্তুতি ও সরকারের ভূমিকা

খালেদা জিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে যাতে দেশে ফেরার জন্য সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। তাঁকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ফেরানোর চেষ্টা চললেও তা না হলে তিনি বিজনেস ক্লাসে ফিরবেন। এই উদ্যোগে সরকারের অবস্থান, সহযোগিতা এবং তাৎপর্য রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি রাজনৈতিক পরিবেশে নরম বা কঠোর মনোভাব প্রতিফলিত করতে পারে।

পারিবারিক দিক

এই সফরের মাধ্যমে তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান বহু বছর পর দেশে ফিরছেন, যা রাজনৈতিকভাবেও তাৎপর্যপূর্ণ। খালেদা জিয়ার আরেক পুত্রবধূ শর্মিলা রহমানও তাঁর সঙ্গে ফিরছেন। এদের প্রত্যাবর্তন বিএনপির ভেতরকার পারিবারিক শক্তি ও সংহতিকে চিহ্নিত করে, যা দলীয় রাজনীতিতে প্রভাব ফেলতে পারে।

রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ও তাৎপর্য

খালেদা জিয়ার দেশে ফেরার বিষয়টি কেবল ব্যক্তিগত চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়, এটি এক ধরনের রাজনৈতিক বার্তাও বহন করে। চিকিৎসারত অবস্থায়ও তাঁর দেশে ফেরা একটি সাহসী সিদ্ধান্ত, যা নেত্রী হিসেবে তাঁর সক্রিয় ভূমিকার ইঙ্গিত দেয়। তাছাড়া তারেক রহমান ও জুবাইদা রহমানের অবস্থান এবং দেশের রাজনীতিতে তাদের সম্ভাব্য সক্রিয়তা নিয়েও নতুন করে আলোচনা শুরু হতে পারে।

Leave a Reply