
এ. কে. ফজলুল হকের নাম ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে: তারেক রহমান
জাতীয় নেতা শেরে বাংলা এ. কে. ফজলুল হকের ৬৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। তাদের বাণীতে শেরে বাংলার অসামান্য রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, গণমানুষের অধিকার আদায়ে অবদান এবং কৃষক-শ্রমিকের উন্নয়নে নেওয়া যুগান্তকারী পদক্ষেপের কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে।
শেরে বাংলার অবদান: তারেক রহমানের দৃষ্টিতে
তারেক রহমান বলেন, শেরে বাংলা এ. কে. ফজলুল হক ছিলেন উপমহাদেশের এক অনন্যসাধারণ, প্রজ্ঞাবান ও বিচক্ষণ রাজনীতিবিদ। তিনি জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত দেশের জনগণের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে নিবেদিত ছিলেন। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে তার বলিষ্ঠ ভূমিকা ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে আছে। রাজনীতি, সমাজ, শিক্ষা, কৃষিসহ দেশের সামগ্রিক অগ্রগতিতে তিনি প্রভূত অবদান রেখেছেন।
তিনি আরও বলেন, ঋণ সালিশী বোর্ড গঠনের মাধ্যমে বাংলার শোষিত ও নির্যাতিত কৃষককুলকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্ত থেকে উদ্ধার করতে সমর্থ হয়েছিলেন শেরে বাংলা। তিনি বঙ্গীয় চাকরি নিয়োগবিধি, প্রজাস্বত্ব আইন, মহাজনি আইন, দোকান কর্মচারী আইন প্রণয়ন করেন, যা এ অঞ্চলের অবহেলিত কৃষক-শ্রমিকের ভাগ্যোন্নয়নে যুগান্তকারী অবদান রেখেছে।
মির্জা ফখরুলের শ্রদ্ধাঞ্জলি
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, শেরে বাংলা ছিলেন উপমহাদেশের এক অনন্যসাধারণ প্রজ্ঞাবান ও বিচক্ষণ রাজনীতিবিদ। তিনি দেশের গণমানুষের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে জীবনের শেষদিন পর্যন্ত সংগ্রাম করে গেছেন। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখার জন্য তিনি ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে আছেন। রাজনীতি, সমাজ, শিক্ষা, কৃষিসহ দেশের সামগ্রিক অগ্রগতিতে তিনি প্রভূত অবদান রেখেছেন।
বিএনপি নেতৃবৃন্দের বাণীতে শেরে বাংলার রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, গণমানুষের অধিকার আদায়ে অবদান এবং কৃষক-শ্রমিকের উন্নয়নে নেওয়া পদক্ষেপের কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। তারা শেরে বাংলার আদর্শকে বর্তমান ও ভবিষ্যৎ রাজনীতিবিদদের জন্য অনুসরণীয় হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।
এই বাণীগুলো শেরে বাংলার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশের পাশাপাশি তার আদর্শ ও অবদানকে স্মরণ করে বর্তমান প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করার একটি প্রয়াস।