কুয়েট উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যের পদত্যাগ
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) বর্তমানে এক সংকটময় পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে অতিক্রম করছে। শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনের মুখে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদ এবং উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ শরীফুল আলম পদত্যাগ করেছেন। এই পদত্যাগের বিষয়টি শিক্ষা মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করেছে।
সরকারি সিদ্ধান্ত:
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, সরকারের পক্ষ থেকে দুজনকেই দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ সিদ্ধান্তের পেছনে মূল কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে কুয়েটে সাম্প্রতিক ঘটনাবলির পরিপ্রেক্ষিতে সৃষ্ট সংকট। সেইসাথে, সার্চ কমিটির মাধ্যমে দ্রুতই এই দুটি পদে নতুন নিয়োগ দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে।
কারণ ও প্রভাব:
যদিও পদত্যাগের পেছনের নির্দিষ্ট কারণ বিস্তারিতভাবে জানানো হয়নি, তবে ধারণা করা যাচ্ছে যে শিক্ষার্থীদের অনির্দিষ্টকালের আন্দোলন ও তাদের দাবিদাওয়া এই সিদ্ধান্তের পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছে। শিক্ষার্থীরা প্রশাসনের কিছু সিদ্ধান্ত ও আচরণের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ ছিল বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। এ সংকটের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রমও ব্যাহত হচ্ছিল।
পরবর্তী ব্যবস্থা:
মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. মামুন অর রশিদ জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম চালু রাখতে অস্থায়ীভাবে একজন জ্যেষ্ঠ অধ্যাপককে উপাচার্যের দায়িত্ব দেওয়া হবে। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, যাতে করে শিক্ষা কার্যক্রম দ্রুত স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনা যায়।
কুয়েট প্রশাসনের এই রদবদল শিক্ষা খাতে প্রশাসনিক জবাবদিহিতা ও শিক্ষার্থীদের কণ্ঠস্বরের গুরুত্বকে আবারও সামনে এনেছে। তবে এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ শান্ত ও স্থিতিশীল রেখে শিক্ষার্থীদের জন্য একটি ইতিবাচক ও সহনশীল একাডেমিক পরিবেশ নিশ্চিত করা।
