
পোপ ফ্রান্সিস আর নেই
খ্রিস্টান ধর্মের সর্বোচ্চ ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিস মৃত্যুবরণ করেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর।
মৃত্যু সম্পর্কে তথ্য:
- তারিখ: স্থানীয় সময় সোমবার সকাল ৭:৩৫ মিনিট
- স্থান: ভ্যাটিকানের কাসা সান্তা মার্তা বাসভবন
- কারণ: ফুসফুস ও শ্বাসপ্রশ্বাসজনিত জটিলতা
- হাসপাতাল ভর্তি: গত ১৪ ফেব্রুয়ারি নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে
- শেষ মুহূর্তে: ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল, পরে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরেন
- মৃত্যুর একদিন আগেও: সেন্ট পিটার্স স্কয়ারে উপস্থিত হয়ে ‘শুভ ইস্টার’ বার্তা দেন হাজারো উপাসকের উদ্দেশ্যে
ব্যক্তিগত জীবন:
- পুরোনো নাম: জর্জ মারিও বারগোগ্লিও
- জন্ম: ১৭ ডিসেম্বর ১৯৩৬, বুয়েনস এইরেস, আর্জেন্টিনা
- বাবা: মারিও হোসে বারগোগ্লিও (রেলওয়ের হিসাবরক্ষক, ইতালীয় অভিবাসী)
- মা: রেগিনা সিভোরি
শিক্ষা ও ধর্মীয় জীবন:
- প্রথম জীবন: কেমিস্ট হিসেবে প্রশিক্ষণ
- পরে দর্শন ও ধর্মতত্ত্বে পড়াশোনা
- ধর্মযাজক হিসেবে অভিষেক: ১৯৬৯
- আর্চবিশপ: ১৯৯৮, আর্জেন্টিনায়
- পোপ নির্বাচিত: ২০১৩ (পোপ ষোড়শ বেনেডিক্ট পদত্যাগের পর)
- নাম পরিবর্তন করে হন: পোপ ফ্রান্সিস
- বিশেষত্ব: দক্ষিণ আমেরিকা থেকে নির্বাচিত প্রথম পোপ
রোমান ক্যাথলিক চার্চে অবদান:
- দায়িত্বকাল: ২০১৩ – ২০২৫ (১২ বছর)
- শারীরিক কষ্ট: ২১ বছর বয়সে এক ফুসফুসের অংশ কেটে ফেলতে হয়
- দায়িত্ব পালনকালে বেশ কয়েকবার হাসপাতালে ভর্তি হন
- ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গি:
- গির্জার দরজা সবার জন্য খোলা, এমনকি এলজিবিটি সম্প্রদায়ের জন্যও
- ধর্মীয় সহনশীলতা ও ঐক্যের বার্তা প্রচার করেন
আন্তর্জাতিক সফর ও বাংলাদেশ:
- ২০১৭ সালের নভেম্বরে তিনি বাংলাদেশ সফর করেছিলেন
- এ সময় তিনি আন্তধর্মীয় সংলাপ ও সংহতির বার্তা দিয়েছিলেন
ভ্যাটিকানের শোকবার্তা:
ভ্যাটিকানের মুখপাত্র কার্ডিনাল ফারেল বলেন,“তার পুরো জীবন ছিল প্রভু ও তার গির্জার সেবায় নিবেদিত।”
পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যুতে বিশ্বজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তিনি শুধু ক্যাথলিকদের নয়, সকল ধর্মের মানুষের প্রতি সহমর্মিতা ও সংলাপের প্রতীক হয়ে উঠেছিলেন।