November 13, 2025
মডেল মেঘনা আলমের ব্যাংক হিসাব তলব

মডেল মেঘনা আলমের ব্যাংক হিসাব তলব

এপ্রি ২১, ২০২৫

মেঘনা আলমকে ৯ এপ্রিল বসুন্ধরার নিজ বাসা থেকে আটক করে ডিএমপির গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। এরপর ১৫ এপ্রিল ধানমন্ডি মডেল থানায় চাঁদাবাজি ও প্রতারণার অভিযোগে মেঘনা, দেওয়ান সমিরসহ আরও দুই-তিনজন অজ্ঞাতনামার বিরুদ্ধে মামলা করেন থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ আবদুল আলীম।

মামলার মূল অভিযোগ:

  • অর্থ দাবি: মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আসামিরা একজন অজ্ঞাতনামা কূটনীতিকের কাছে পাঁচ মিলিয়ন ডলার দাবি করেন, যা প্রায় ৬০ কোটি টাকা
  • গোপন বৈঠক: এই দাবি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ২৯ মার্চ ধানমন্ডির একটি রেস্তোরাঁয় অনুষ্ঠিত একটি গোপন বৈঠকে, যেখানে মেঘনা, সমিরসহ আরও কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন।
  • উদ্দেশ্য: অভিযোগ অনুযায়ী, বৈঠকের উদ্দেশ্য ছিল প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আদায় করা।
  • আন্তঃরাষ্ট্রীয় সম্পর্কের ঝুঁকি: অভিযুক্তদের এই কার্যকলাপ আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে—এমন আশঙ্কার কথাও মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।

পূর্ববর্তী মামলা:

এর আগেও দেওয়ান সমিরের বিরুদ্ধে ভাটারা থানায় চাঁদাবাজির অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয় এবং তিনি ১১ এপ্রিল গ্রেপ্তার হন।

১. আর্থিক প্রতারণার জটিল রূপ: এই মামলায় যেভাবে কূটনীতিককে টার্গেট করে অর্থ দাবি করা হয়েছে, তা শুধুমাত্র চাঁদাবাজির একটি সাধারণ ঘটনা নয়। এখানে আন্তর্জাতিক সম্পর্ককে কাজে লাগিয়ে প্রতারণা করার চেষ্টা করা হয়েছে, যা একটি ভয়াবহ পরিণতির ইঙ্গিত দেয়।

  1. প্রতারণা ও সংগঠিত অপরাধের সম্ভাবনা: গোপন বৈঠক, সুপরিকল্পিত অর্থ দাবি, এবং কূটনীতিককে শিকার বানানো—এসব বিষয় থেকে ধারণা করা যায়, এটি একটি সংগঠিত প্রতারণা চক্র হতে পারে, যার পেছনে আরও শক্তিশালী ব্যক্তি বা গোষ্ঠী থাকতে পারে।
  2. রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ও কূটনৈতিক শিষ্টাচার: কূটনীতিকদের সঙ্গে এমন প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডে জড়ানো শুধু ফৌজদারি অপরাধ নয়, এটি রাষ্ট্রীয় ভাবমূর্তিকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারে। এটি সরাসরি কূটনৈতিক নীতিমালার লঙ্ঘন
  3. আইনি ব্যবস্থা ও তদন্তের গুরুত্ব: এই মামলার সুষ্ঠু তদন্ত অত্যন্ত জরুরি, কারণ এর মাধ্যমে প্রতারণার পুরো চক্রের চিত্র উন্মোচিত হতে পারে। একইসঙ্গে, এ ধরনের কর্মকাণ্ড ভবিষ্যতে প্রতিরোধে প্রশাসনের সতর্কতা ও কঠোর নজরদারি প্রয়োজন।

মেঘনা আলম ও দেওয়ান সমিরের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ শুধু ব্যক্তি পর্যায়ের নয়, বরং এটি বৃহত্তর রাষ্ট্রীয় ও আন্তর্জাতিক প্রসঙ্গেও গুরুত্বপূর্ণ। কূটনৈতিক মহলে এর প্রতিক্রিয়া এবং সম্ভাব্য প্রভাব বিবেচনায় নিয়ে, মামলার তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়াকে স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ ও দ্রুতগতিতে এগিয়ে নেওয়া আবশ্যক।

Leave a Reply