
শিল্পী মানবেন্দ্রের বাড়িতে হামলাকারীদের ধরতে কাজ করছে পুলিশ: সংস্কৃতি উপদেষ্টা
সম্প্রতি মানিকগঞ্জের চিত্রশিল্পী মানবেন্দ্র ঘোষের বাড়িতে দুর্বৃত্তদের অগ্নিসংযোগের ঘটনা বাংলাদেশের শিল্প-সাহিত্য ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার জন্য এক ভয়াবহ ইঙ্গিত। পহেলা বৈশাখের মতো সাংস্কৃতিক উৎসবের প্রেক্ষাপটে এই হামলা শুধুমাত্র একজন শিল্পীর ব্যক্তিস্বাধীনতার ওপর আঘাত নয়, বরং এটি গোটা সমাজে ভয় ও সহিংসতার বার্তা ছড়িয়ে দেয়।
সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুক পোস্টে জানান, এ হামলায় জড়িতদের চিহ্নিত করতে এবং তাদের আইনের আওতায় আনতে পুলিশ কাজ শুরু করেছে। তিনি আরও জানান, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার মাধ্যমে পুলিশের আইজিকে ইতোমধ্যে পরিষ্কার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
ফারুকীর বক্তব্যে উঠে এসেছে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক—সাম্প্রতিক সময়ে একটি সংগঠিত গোষ্ঠী অনলাইনে মানবেন্দ্র ঘোষের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়াচ্ছিল, যার পেছনে ছিল কথিত ‘হাসিনার মুখাবয়ব বানানো’র অভিযোগ। এ ধরনের উসকানিমূলক প্রচার দেশের মতপ্রকাশের স্বাধীনতার জন্য চরম হুমকি।
ঘটনাটি ঘটে এমন এক সময়, যখন পাহাড় থেকে সমতলজুড়ে বাংলাদেশ একটি মৈত্রীর উৎসব উদযাপন করেছে। এই প্রেক্ষাপটে এমন একটি সহিংস আক্রমণ জাতিকে স্মরণ করিয়ে দেয় যে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক ও সামাজিক উত্তেজনার ধারা এখনও থেমে যায়নি।
এই ঘটনার মাধ্যমে দুটি বিষয় পরিষ্কার হয়ে ওঠে:
- শিল্প ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা এখনো হুমকির মুখে।
- দুর্বৃত্তদের এই ধরনের হামলার পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ও অসহিষ্ণুতার বীজ রয়ে গেছে।
মানবেন্দ্র ঘোষের পরিবার যেমন এই ঘটনার ন্যায়বিচার চাচ্ছেন, তেমনি দেশবাসীও চায় দোষীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি। সরকারের উচিত এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করে প্রমাণ করা যে শিল্প, সংস্কৃতি এবং মতপ্রকাশের ওপর আঘাত বাংলাদেশে বরদাশত করা হবে না।