November 13, 2025
লন্ডনে খালেদা জিয়ার সঙ্গে জামায়াতের আমিরের সাক্ষাৎ

লন্ডনে খালেদা জিয়ার সঙ্গে জামায়াতের আমিরের সাক্ষাৎ

এপ্রি ১৬, ২০২৫

লন্ডনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বাসভবনে জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান ও নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের সাক্ষাৎ করেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে। এ সময় তারেক রহমানও উপস্থিত ছিলেন। জামায়াতের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এটি ছিল খালেদা জিয়ার খোঁজখবর নেওয়ার জন্য সৌজন্যমূলক সাক্ষাৎ।

তবে এই সাক্ষাৎ এমন এক সময়ে হলো, যখন দেশীয় ও আন্তর্জাতিক রাজনীতি নানা মোড় নিচ্ছে এবং বিএনপির রাজনৈতিক কৌশল ও আগামী দিনের ভূমিকা নিয়ে জল্পনা-কল্পনা চলছে।

রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ও প্রাসঙ্গিকতা:

  1. জামায়াত-বিএনপি সম্পর্কের পুনর্মূল্যায়ন:
    দীর্ঘদিন ধরে জামায়াত ও বিএনপি জোটগত রাজনীতির অংশ হলেও, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এবং আন্তর্জাতিক চাপে বিএনপি কিছুটা দূরত্ব বজায় রেখেছিল। এই সাক্ষাৎ সেই সম্পর্কের নতুন করে উষ্ণতা সৃষ্টি করছে কি না, তা এখনো স্পষ্ট নয়। তবে এটিকে নিছক ‘সৌজন্য সাক্ষাৎ’ বললেও এর পেছনে রাজনৈতিক বার্তা থাকতে পারে।
  2. চলমান ও ভবিষ্যৎ রাজনীতিতে যৌথ কৌশল:
    তারেক রহমানের উপস্থিতি এই সাক্ষাতের গুরুত্ব বাড়িয়ে তোলে। এটি শুধুমাত্র খালেদা জিয়ার খোঁজখবর নেওয়া নয়, বরং দুই দলের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক কৌশল, বিশেষ করে প্রবাসী রাজনীতির সমন্বয়, জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি এবং আন্তর্জাতিক মহলে লবিং ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা হয়ে থাকতে পারে।
  3. আন্তর্জাতিক সংযোগ:
    জামায়াতের নেতারা ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে লন্ডনে যান। এর মাধ্যমে বোঝা যায়, দলটি আন্তর্জাতিক মহলেও সক্রিয় এবং নিজেদের অবস্থান তুলে ধরতে সচেষ্ট। এটি বিএনপির জন্যও গুরুত্বপূর্ণ, কারণ তাদের রাজনীতিতেও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও সমর্থন বড় ভূমিকা রাখে।
  4. রাজনৈতিক বার্তা ও প্রতিক্রিয়া:
    বিএনপির সাবেক প্রেস সচিব মারুফ কামাল খানের মন্তব্য এবং ফেসবুক পোস্টে যা ইঙ্গিত পাওয়া যায়, তা হলো—এই সাক্ষাৎ নিছক সৌজন্য না হয়ে রাজনৈতিক মাত্রা পেতে পারে। জনগণ ও রাজনীতিবিদরা আগ্রহভরে দেখছেন, এর ফলস্বরূপ রাজনীতিতে নতুন কোনো মেরুকরণ তৈরি হয় কি না।
  5. জনগণের দৃষ্টিভঙ্গি:
    জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির ঘনিষ্ঠতা আবারও দৃশ্যমান হলে তা একদিকে দলীয় ভোট ব্যাংকে প্রভাব ফেলতে পারে, অন্যদিকে আন্তর্জাতিক মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি করতে পারে, বিশেষ করে পশ্চিমা দেশগুলোর কাছে।

Leave a Reply