July 7, 2025
১০ লাখ অভিবাসীকে ফেরত পাঠাতে চাপ ট্রাম্পের

১০ লাখ অভিবাসীকে ফেরত পাঠাতে চাপ ট্রাম্পের

এপ্রি ১৪, ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও অভিবাসন ইস্যুকে কেন্দ্র করে কড়াকড়ি পদক্ষেপের দিকে এগোচ্ছেন। নির্বাচনী প্রচার থেকেই অভিবাসীদের বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নেওয়ার ঘোষণা দেওয়া ট্রাম্প, ক্ষমতায় এসে সেই নীতিকে বাস্তবে রূপ দিতে কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছেন।

নিউইয়র্ক টাইমস–এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্রাম্প প্রশাসনের অভ্যন্তরে এমন একটি উচ্চাকাঙ্ক্ষী পরিকল্পনা নিয়ে কাজ চলছে যার লক্ষ্য হলো মাত্র এক বছরে ১০ লাখ অভিবাসীকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কার করা। বিষয়টি সম্পর্কে অবগত চারজন বর্তমান ও সাবেক ফেডারেল কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

এত বড় পরিসরে বহিষ্কারের নজির নেই

বারাক ওবামা প্রশাসনের সময় এক বছরে সর্বোচ্চ ৪ লাখ অভিবাসী বহিষ্কৃত হয়েছিল। ট্রাম্প প্রশাসনের লক্ষ্যমাত্রা তা দ্বিগুণেরও বেশি। যদিও কর্মকর্তারা প্রকাশ্যে বলছেন না কীভাবে এই সংখ্যা নির্ধারিত হয়েছে, বিশ্লেষকরা বলছেন—প্রয়োজনীয় বাজেট, জনবল এবং আদালতের প্রক্রিয়াজাতকরণ সময় বিবেচনায় এটি অবাস্তব হলেও অসম্ভব নয়

চূড়ান্ত নির্বাসন আদেশপ্রাপ্তদের লক্ষ্য করা হচ্ছে

জানা গেছে, প্রায় ১৪ লাখ অভিবাসীর বিরুদ্ধে চূড়ান্ত নির্বাসনের আদেশ রয়েছে। তাদেরকে দ্রুত ফেরত পাঠানো এই পরিকল্পনার গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তবে যদি কোনো দেশ নিজ নাগরিককে ফেরত নিতে না চায়, তাহলে তাদের তৃতীয় কোনো দেশে পাঠানো হবে বলে জানানো হয়েছে।

তৃতীয় দেশে পাঠানো শুরু, ৩০টিরও বেশি দেশের সঙ্গে আলোচনা

ফেডারেল কর্মকর্তাদের মতে, ইতোমধ্যেই মেক্সিকো, কোস্টারিকা ও পানামা-সহ কয়েকটি দেশে অভিবাসীদের পাঠানো শুরু হয়েছে। এই মুহূর্তে ৩০টিরও বেশি দেশের সঙ্গে অভিবাসী গ্রহণ বিষয়ে আলোচনা চলছে। ট্রাম্প প্রশাসন মনে করছে, এটি একটি “ব্যবস্থা মেরামতের ম্যান্ডেট”, যা তারা জনগণের কাছ থেকে পেয়েছে।

সীমান্ত নিরাপত্তা ও অপরাধ দমনের যুক্তি

হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র কুশ দেশাই বলেন, ট্রাম্প প্রশাসনের উদ্দেশ্য হলো “স্বেচ্ছাচারী নয়, অপরাধী ও সন্ত্রাসী অভিবাসীদের শনাক্ত করে নিয়মতান্ত্রিকভাবে বহিষ্কার করা”। অভিবাসনকে কেন্দ্র করে কঠোর অবস্থান নেওয়াই প্রশাসনের অন্যতম অগ্রাধিকার বলে উল্লেখ করেন তিনি।

৩০ দিনের বেশি অবস্থানে বাধ্যতামূলক নিবন্ধন

অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি নতুন নির্দেশনা জারি করেছে, যেখানে বলা হয়েছে, যে কোনো বিদেশি নাগরিক যুক্তরাষ্ট্রে ৩০ দিনের বেশি অবস্থান করলে তাকে সরকারিভাবে নিবন্ধন করতে হবে। ব্যর্থ হলে জরিমানা ও কারাদণ্ডের মুখোমুখি হতে হবে।

এক্স (পূর্বে টুইটার)–এ দেওয়া এক পোস্টে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্টি নোয়েমের নেতৃত্বে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। পোস্টে স্পষ্টভাবে বলা হয়:

“অবৈধ অভিবাসীদের উদ্দেশে আমাদের বার্তা—যুক্তরাষ্ট্র ছাড়ুন এবং নিজ দেশে ফিরে যান।”

Leave a Reply