July 19, 2025
শেখ হাসিনা-রেহানা-টিউলিপ-ববিসহ ৫৩ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

শেখ হাসিনা-রেহানা-টিউলিপ-ববিসহ ৫৩ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

এপ্রি ১৩, ২০২৫

রাজউকের পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) দায়ের করা পৃথক তিনটি মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানা, রেহানার সন্তান রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি, মেয়ে আজমিনা সিদ্দিক এবং যুক্তরাজ্যের সংসদ সদস্য টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিকসহ মোট ৫৩ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত।

আদালতের আদেশ:

  • আজ, রোববার (১৩ এপ্রিল), ঢাকার মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ জাকির হোসেন গালিব দুদকের দাখিল করা চার্জশিট আমলে নিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
  • আদালত জানায়, আসামিরা পলাতক থাকায় এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
  • গ্রেপ্তার সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২৭ এপ্রিল তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।

তিনটি পৃথক মামলা ও আসামিদের বিবরণ:

১. শেখ রেহানাকে প্রধান আসামি করে দায়েরকৃত মামলা

  • অভিযোগ: পূর্বাচল প্রকল্পে ১০ কাঠা প্লট গ্রহণে ক্ষমতার অপব্যবহার ও অনিয়ম।
  • মামলার তারিখ: ১৩ জানুয়ারি ২০২৫।
  • মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা: দুদকের উপ-পরিচালক সালাহউদ্দিন।
  • চার্জশিট দাখিল: ১০ মার্চ ২০২৫।
  • আসামি: শেখ রেহানা (প্রধান আসামি), শেখ হাসিনা, টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিকসহ ১৭ জন।

২. আজমিনা সিদ্দিককে প্রধান আসামি করে দায়েরকৃত মামলা

  • অভিযোগ: একই প্রকল্পে ১০ কাঠা প্লট গ্রহণে অনিয়ম।
  • মামলার তারিখ: ১৩ জানুয়ারি ২০২৫।
  • তদন্তকারী কর্মকর্তা: আফনান জান্নাত কেয়া।
  • চার্জশিট দাখিল: ১০ মার্চ ২০২৫।
  • আসামি: আজমিনা সিদ্দিক (প্রধান আসামি), শেখ হাসিনা, টিউলিপসহ ১৮ জন।

৩. রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিককে প্রধান আসামি করে দায়েরকৃত মামলা

  • অভিযোগ: পূর্বাচলে ১০ কাঠা প্লট অনিয়মের মাধ্যমে গ্রহণ।
  • মামলার তারিখ: ১৩ জানুয়ারি ২০২৫।
  • তদন্তকারী কর্মকর্তা: এস এম রাশেদুল হাসান।
  • চার্জশিট দাখিল: ১০ মার্চ ২০২৫।
  • আসামি: রাদওয়ান মুজিব (প্রধান আসামি), শেখ হাসিনা, টিউলিপসহ ১৮ জন।

মোট পরিসংখ্যান:

  • মোট মামলা: ৩টি।
  • মোট আসামি: ৫৩ জন।
  • প্রধান আসামি: শেখ রেহানা, রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক, আজমিনা সিদ্দিক।
  • সহযোগী আসামি: শেখ হাসিনা, টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিকসহ অন্যরা।

এই মামলাগুলোর মাধ্যমে বোঝা যাচ্ছে, রাজউকের জমি বরাদ্দে উচ্চপর্যায়ের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির গুরুতর অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে। আদালত মামলাগুলোর চার্জশিট আমলে নিয়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করায় বিষয়টি নতুন মোড় নিয়েছে। এখন দেখার বিষয়, তদন্ত ও বিচারিক কার্যক্রম কতটা স্বচ্ছ ও কার্যকরভাবে পরিচালিত হয়।

Leave a Reply