
কৃতি শোনালেন স্কুলে ফিরে যাওয়ার গল্প
সময়ের সাথে বদলায় পরিচয়, বদলায় মানুষের অবস্থান। তবে কিছু স্মৃতি থাকে চিরন্তন—যেখানে ফিরে যাওয়া মানে নিজের শিকড়কে নতুন করে ছুঁয়ে দেখা। ঠিক এমনই এক অভিজ্ঞতা হয়েছিল বলিউড অভিনেত্রী কৃতি শ্যাননের, যখন তিনি পনের বছর পর পা রাখলেন তাঁর স্কুল দিল্লির দিল্লি পাবলিক স্কুল, আর.কে. পুরম-এর প্রাঙ্গণে।
‘ভেড়িয়া’ সিনেমার প্রচারের উদ্দেশ্যে নিজের পুরনো স্কুলে ফিরে গিয়ে কৃতি যেন একঝলক ফিরে পেলেন তাঁর কৈশোর। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করা এক ছবিতে তিনি লেখেন, “স্কুলে ফিরে! ১৫ বছর পর!!” পাশাপাশি লেখেন, “‘ভেড়িয়া’ সিনেমার প্রচারের জন্য আমার স্কুলে ফিরে আসতে পেরে গর্বিত অনুভূতি!! নস্টালজিক!”
কৃতির ভাষ্যেই স্পষ্ট—এই স্কুলই তাঁকে গড়ে তুলেছে, তৈরি করে দিয়েছে এমন এক ভিত্তি যার উপর দাঁড়িয়ে আজকের কৃতি শ্যানন। নিজের সফলতা ও স্বপ্নপূরণের গল্প বলতে পেরে তিনি যেন ফিরে পেলেন অতীতের সেই নির্ভরতার ছায়া। তিনি বলেন,
“দিল্লি পাবলিক স্কুল আর.কে.পুরম আমাকে অনেক কিছু দিয়েছে। আজ আমি যে জায়গায় পৌঁছেছি, তার পেছনে এই স্কুলের অবদান অনেক। এই পরিচয় নিয়ে স্কুলে ফিরে এসে তা জানাতে পারা—এ এক অদ্ভুত আনন্দ, ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়।”
অভিনেত্রীর সাফল্যের পথে যাত্রা
স্কুলজীবন শেষে কৃতি ভর্তি হন নয়ডার জেপি ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজিতে, সেখান থেকেই ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি অর্জন করেন। যদিও তিনি পেশাগতভাবে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের পথে হাঁটেননি, তবে এই সময়েই শুরু হয় তাঁর মডেলিং ক্যারিয়ার, যা তাঁকে পৌঁছে দেয় বলিউডের দরজায়।
প্রথমেই নিজের সৌন্দর্য ও ব্যক্তিত্ব দিয়ে নজর কাড়েন কৃতি, তারপর অভিনয়ের মুন্সিয়ানে জয় করেন দর্শক হৃদয়। ‘হিরোপন্তি’ সিনেমা দিয়ে বলিউডে অভিষেক হওয়া এই অভিনেত্রী আজ বলিউডের প্রথম সারির তারকাদের একজন। একের পর এক বক্স অফিস হিট সিনেমা তাঁকে এনে দিয়েছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা ও সম্মান।
নতুন পরিচয়ে: প্রযোজক কৃতি
শুধু অভিনেত্রী হিসেবেই নয়, সম্প্রতি কৃতি শ্যানন প্রযোজক হিসেবেও আত্মপ্রকাশ করেছেন। অভিনয় জগতে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর এখন তিনি সিনেমার পেছনের কাজেও যুক্ত হচ্ছেন, যা তাঁর বহুমাত্রিক প্রতিভারই আরেকটি প্রমাণ।
আগামী সিনেমা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
কৃতিকে শিগগিরই দেখা যাবে ‘কিলবিল’-এর হিন্দি রিমেকে। পাশাপাশি ‘হাউজফুল ৫’ ও ‘তেরে ইশক মে’ সিনেমাগুলোতেও তাঁর অভিনয় নিয়ে রয়েছে ভক্তদের আগ্রহ।
কৃতি শ্যাননের স্কুলে ফিরে যাওয়ার ঘটনা শুধু একজন অভিনেত্রীর আবেগঘন মুহূর্ত নয়, বরং প্রমাণ—যেখান থেকেই যাত্রা শুরু হোক না কেন, শেকড়ের টান কখনও শেষ হয় না। তিনি যেভাবে নিজের পুরনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিরে গিয়ে বিনম্রভাবে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন, তা সত্যিই অনুপ্রেরণামূলক।