
আওয়ামী লীগের শীর্ষ ১০ নেতার বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারির উদ্যোগ
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর কার্যালয় আওয়ামী লীগের শীর্ষ ১০ নেতার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড নোটিশ জারি করার জন্য বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি)-কে চিঠি পাঠিয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) এ চিঠি প্রেরণ করা হয়।
যাদের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ চাওয়া হয়েছে:
- ওবায়দুল কাদের – আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক
- আসাদুজ্জামান খান কামাল – সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
- আ ক ম মোজাম্মেল হক – সাবেক মন্ত্রী
- ড. হাসান মাহমুদ – সাবেক তথ্যমন্ত্রী
- জাহাঙ্গীর কবীর নানক – আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য
- ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস – ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র
- মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল – সাবেক উপমন্ত্রী
- নজরুল হামিদ দিপু – সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী
- মোহাম্মদ আলী আরাফাত – আওয়ামী লীগ নেতা
- মেজর জেনারেল (অব.) তারেক আহমেদ সিদ্দিকী – সাবেক নিরাপত্তা উপদেষ্টা
রেড নোটিশের পটভূমি ও মামলার অগ্রগতি:
চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম জানান, জুলাই-আগস্টে সংঘটিত গণহত্যার অভিযোগে ২২টি মামলায় মোট ১৪১ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। এর মধ্যে:
- ৫৪ জন আসামিকে ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে
- ৮৭ জন এখনো পলাতক
ট্রাইব্যুনালের পরিসংখ্যান অনুসারে:
- মোট ৩৩৯টি অভিযোগ দাখিল হয়েছে
- বর্তমানে ৩৯টি মামলার তদন্ত চলছে
- ২২টি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে
মতবিনিময় সভা:
এই তথ্যগুলো এক মতবিনিময় সভায় প্রকাশ করা হয়, যেখানে উপস্থিত ছিলেন:
মিজানুল ইসলাম, গাজী এম এইচ তামিম, আবদুল্লাহ আল নোমান, সাইমুম রেজা প্রমুখ
প্রসিকিউটর আবদুস সোবহান তরফদার
এ ধরনের রেড নোটিশ জারির উদ্যোগ রাজনৈতিক ও আন্তর্জাতিকভাবে বড় প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। যেহেতু অভিযুক্তদের অনেকেই বর্তমান বা সদ্য সাবেক গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন, তাই বিষয়টি রাজনৈতিক অঙ্গনেও উত্তপ্ত আলোচনা সৃষ্টি করবে।
এটি একটি স্পষ্ট বার্তা যে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল রাজনৈতিক পরিচয় বিবেচনা না করে অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে আগ্রহী। তবে অভিযোগ প্রমাণ না হওয়া পর্যন্ত অভিযুক্তরা আইনের চোখে নির্দোষ—এই নীতিকেই গুরুত্ব দেওয়া উচিত।