
আমু সালমান শমী কায়সাসহ নতুন মামলায় গ্রেপ্তার ১০
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন: রাজধানীর বিভিন্ন থানার মামলায় রাজনৈতিক নেতা ও বিশিষ্টজনদের গ্রেপ্তার দেখালো আদালত
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রেক্ষিতে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় দায়ের করা পৃথক মামলায় দেশের রাজনীতির গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন ব্যক্তি ও বিশিষ্টজনদের গ্রেপ্তার দেখিয়েছেন আদালত।
গ্রেপ্তার দেখানো ব্যক্তিরা হলেন:
- আমির হোসেন আমু – আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য
- সালমান এফ রহমান – প্রধানমন্ত্রীর সাবেক বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা
- ডা. দীপু মনি – সাবেক শিক্ষামন্ত্রী
- শমী কায়সার – অভিনেত্রী ও ব্যবসায়ী
- রাশেদ খান মেনন – ওয়ার্কাস পার্টির সভাপতি
- হাজী সেলিম – সাবেক সংসদ সদস্য
- সাদেক খান – সাবেক সংসদ সদস্য
- আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব – সাবেক উপমন্ত্রী
- শহীদুল হক – সাবেক আইজিপি
- চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন – সাবেক আইজিপি
আদালতের আদেশ ও শুনানি প্রক্রিয়া:
বুধবার (তারিখ উল্লেখযোগ্য হলে যুক্ত করা যেতে পারে), ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জি এম ফারহান ইশতিয়াক শুনানি শেষে তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেন। সকাল ৯টায় ঢাকার সিএমএম আদালতের হাজতখানায় পুলিশ তাদের নিয়ে আসে এবং সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে আদালতের এজলাসে হাজির করা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তারা আদালতে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করলে, বিচারক তা মঞ্জুর করেন।
মামলাগুলোর ধরন ও থানা ভিত্তিক গ্রেপ্তার দেখানো ব্যক্তি:
- যাত্রাবাড়ী থানা (সাজেদুর রহমান ওমর হত্যা মামলা):
- আমির হোসেন আমু
- সালমান এফ রহমান
- ডা. দীপু মনি
- শহীদুল হক
- হাজী সেলিম
- চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন
- শাহবাগ থানা (মনির হোসেন হত্যা মামলা):
- রাশেদ খান মেনন
- ভাটারা থানা (হত্যাচেষ্টা মামলা):
- আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব
- মোহাম্মদপুর থানা (অপর একটি মামলা):
- সাদেক খান
- উত্তরা পূর্ব থানা (জুবায়ের ইউসুফ হত্যাচেষ্টা মামলা):
- শমী কায়সার
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। দেশের প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বদের এভাবে গ্রেপ্তার দেখানো নজিরবিহীন বলেই অনেকে মনে করছেন। মামলাগুলোর তদন্ত ও বিচারিক প্রক্রিয়া কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, তা এখন আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে।