
গাজায় ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে সিলেটে কেএফসি ও বাটার শো রুমে হামলা
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বরোচিত হামলার বিরুদ্ধে সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও চলছে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ। এরই অংশ হিসেবে সোমবার (সিলেট সময় বিকেল ৩টা থেকে ৫টার মধ্যে) সিলেট নগরীর বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষুব্ধ জনতা হামলা চালায় বেশ কয়েকটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে।
হামলার ঘটনাসমূহ:
- কেএফসি রেস্টুরেন্টে হামলা (মীরবক্সটুলা):
- বিকেল ৩টার দিকে রয়েল মার্ক হোটেলের দ্বিতীয় তলায় অবস্থিত কেএফসিতে বিক্ষোভকারীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে।
- তারা রেস্টুরেন্টের ভেতরে প্রবেশ করে ভাঙচুর চালায়।
- ঘটনাস্থলে একটি কোমল পানীয়বাহী পিকআপ ট্রাক উপস্থিত হলে, সেটিও ক্ষুব্ধ জনতার কবলে পড়ে। ট্রাক থেকে পানীয় বের করে রাস্তায় ফেলে দেওয়া হয়।
- পরিস্থিতি উত্তপ্ত হওয়ায় রেস্টুরেন্টটি বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ।
- বাটার শো রুমে হামলা:
- বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে দরগাগেট এলাকায়, এবং
- পৌনে ৫টার দিকে জিন্দাবাজার মোড়ে অবস্থিত বাটার শো রুমে হামলা চালানো হয়।
- এছাড়া জিন্দাবাজারের আরও একটি বাটা শো রুম, এপেক্স গ্যালারি এবং বন্দরবাজার এলাকার বাটা দোকানেও ইটপাটকেল ছোড়ে বিক্ষুব্ধ জনতা।
- শতশত মানুষ এসব দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ করে।
- কোকাকোলা বিতর্ক:
- হাউজিং এস্টেট এলাকার একটি খাদ্য প্রতিষ্ঠান থেকে কোকাকোলা বের করে রাস্তায় ফেলে দেয় জনতা।
বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ:
বিক্ষোভকারীদের দাবি—
- কেএফসি ও বাটা ইসরায়েলি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান।
- এসব প্রতিষ্ঠান ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি হামলার পক্ষে আর্থিক সহায়তাকারী বলে তাঁদের অভিযোগ।
- তাই “নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের হত্যাকারীদের কোনো প্রতিষ্ঠানের ঠাঁই বাংলাদেশে হতে পারে না”—এই দাবিতে তাঁরা হামলা ও বিক্ষোভ করেছেন।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি:
- মহানগর পুলিশের ডিসি (উত্তর) দেবাশীষ রায় জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ করছে।
এই ঘটনাগুলো প্রতিবাদের বহিঃপ্রকাশ হলেও তা সহিংস রূপ ধারণ করায় জনজীবনে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। সামাজিক আন্দোলন ও রাজনৈতিক প্রতিবাদ অবশ্যই নাগরিক অধিকার, তবে তা সহিংসতা বা ভাঙচুরের মাধ্যমে নয়—এমনটাই প্রত্যাশা করে একটি শান্তিপ্রিয় সমাজ।