July 16, 2025
কয়েক ঘণ্টায় জানা যাবে, এলিয়েন আছে কি নেই

কয়েক ঘণ্টায় জানা যাবে, এলিয়েন আছে কি নেই

এপ্রি ৭, ২০২৫

বিজ্ঞান ও জ্যোতির্বিজ্ঞানে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে যাচ্ছে ‘এক্সট্রিমলি লার্জ টেলিস্কোপ (ELT)’। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি ও নাসার গডার্ড স্পেস ফ্লাইট সেন্টারের গবেষকেরা এই টেলিস্কোপের সক্ষমতা নিয়ে কাজ করছেন। এটি বর্তমানে চিলিতে নির্মাণাধীন এবং ধারণা করা হচ্ছে এটি ২০২৯ সালে চালু হবে, আর পূর্ণ সক্ষমতায় নিয়মিত কার্যক্রম শুরু করবে ২০৩০ সালের ডিসেম্বর মাসে

প্রযুক্তিগত বৈশিষ্ট্য ও সক্ষমতা:

  • দৈত্যাকার আয়না: ইএলটির মূল আয়নায় থাকবে ৭৯৮টি ছোট আয়না, প্রতিটি আয়নায় থাকবে ১২টি এজ সেন্সর
  • তীক্ষ্ণতা: এটি হাবল স্পেস টেলিস্কোপের চেয়ে ১৬ গুণ বেশি তীক্ষ্ণ ছবি দিতে সক্ষম।
  • দ্রুততা: মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই এটি কোনো গ্রহে জীবনের উপস্থিতি (বায়োসিগনেচার) শনাক্ত করতে পারবে।
  • বর্ণালি বিশ্লেষণ: তারার আলো গ্রহের বায়ুমণ্ডলের মধ্য দিয়ে যাওয়ার সময় তার বর্ণালি বিশ্লেষণ করে প্রয়োজনীয় তথ্য দেবে।
  • প্রতিফলিত আলো পর্যবেক্ষণ: অস্বাভাবিক কক্ষপথে ঘূর্ণনরত গ্রহগুলোর পৃষ্ঠ থেকে প্রতিফলিত আলো বিশ্লেষণ করতেও সক্ষম।

গবেষণার মূল লক্ষ্য:

  • বায়োসিগনেচার শনাক্তকরণ: সৌরজগতের বাইরের গ্রহগুলোতে জীবন সম্পর্কিত রাসায়নিক সংকেত বা বায়োসিগনেচার শনাক্ত করা।
  • প্রাণহীন ও বাসযোগ্য গ্রহ আলাদা করা: কোন গ্রহে প্রাণের সম্ভাবনা রয়েছে আর কোনটি সম্পূর্ণ প্রাণহীন—তা নির্ধারণ করতে পারবে।
  • নিকটবর্তী তারা অধ্যয়ন: সৌরজগতের নিকটতম তারা প্রক্সিমা সেন্টোরির বিশ্লেষণেও এই টেলিস্কোপ কার্যকর ভূমিকা রাখবে।

মানব সভ্যতার জন্য তাৎপর্য:

ইএলটি কেবল একটি জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক যন্ত্র নয়, এটি মানবজাতির বহির্বিশ্বে জীবনের সন্ধানে এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ। যদি এই টেলিস্কোপ বায়োসিগনেচার শনাক্তে সফল হয়, তবে তা মহাকাশে প্রাণের অস্তিত্ব সম্পর্কে আমাদের ধারণা আমূল পাল্টে দিতে পারে

ইএলটির মতো প্রযুক্তি মানব ইতিহাসে এক বিশাল মাইলফলক হতে যাচ্ছে। এটি শুধু মহাকাশ গবেষণার পরিধি বিস্তৃত করবে না, বরং নতুন প্রশ্নও উত্থাপন করবে:

  • আমরা কি এই মহাবিশ্বে একা?
  • যদি প্রাণ থাকে, তবে তার রূপ কেমন?
  • ভবিষ্যতে কি আমরা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারব?

Leave a Reply