
বিএনপি কখনো বলেনি আগে নির্বাচন পরে সংস্কার, ভুল ব্যাখ্যা দেওয়া হচ্ছে: মির্জা ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সাম্প্রতিক বক্তব্য থেকে স্পষ্ট যে, দলটি নির্বাচন এবং সংস্কারের ব্যাপারে তাদের অবস্থান পরিষ্কার করতে চায়। তিনি দাবি করেছেন যে, “আগে নির্বাচন, পরে সংস্কার”—এমন কোনো অবস্থান বিএনপি কখনো নেয়নি। বরং দলটি মনে করে, একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার আগে করতে হবে।
বিগত কয়েক মাসে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত বার্তায় বিএনপিকে এমনভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে যেন তারা নির্বাচনকে সংস্কারের চেয়েও বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। মির্জা ফখরুল এই প্রচারণাকে ‘ভুল ব্যাখ্যা’ এবং ‘জনগণকে বিভ্রান্ত করার কৌশল’ বলে উল্লেখ করেছেন।
তিনি আরও বলেন, গণতন্ত্রই রাষ্ট্র পরিচালনার সর্বোৎকৃষ্ট পদ্ধতি এবং স্বৈরাচারী শাসন ব্যবস্থাকে জনগণই ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেয়। আওয়ামী লীগের বর্তমান অবস্থার উদাহরণ টেনে তিনি বোঝাতে চেয়েছেন যে, জনগণের ইচ্ছার বিরোধিতা করলে যেকোনো দলকেই ক্ষমতা ছাড়তে হয়।
বিএনপি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সংস্কারের উদ্যোগকে শ্রদ্ধা জানালেও, দলটি মনে করে যে জনগণের স্বার্থের বাইরে গিয়ে কোনো রাজনৈতিক পদক্ষেপ নেওয়া হলে সেটাকে তারা সমর্থন করবে না।
১. বিএনপির কৌশল:
- বিএনপি চায় নির্বাচন আগে হোক, নাকি আগে সংস্কার হোক—এ নিয়ে বিতর্ক আছে। কিন্তু মির্জা ফখরুল স্পষ্ট করেছেন যে, তারা নির্বাচনকে সুষ্ঠু করতে ন্যূনতম সংস্কারের পক্ষে।
- এটি বোঝায় যে দলটি ক্ষমতাসীন সরকারের অধীনে নির্বাচনের ক্ষেত্রে শঙ্কিত এবং নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য কিছু পূর্বশর্ত দাবি করছে।
- সরকারি প্রচারণার বিরুদ্ধে বিএনপির প্রতিক্রিয়া:
- বিএনপিকে লক্ষ্য করে যে প্রচারণা চালানো হচ্ছে, তা নিয়ে দলটি সরব।
- বিশেষত, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দলটির অবস্থান বিকৃত করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
- গণতন্ত্রের প্রতি বিএনপির অবস্থান:
- তারা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার প্রতি সমর্থন জানালেও, একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করছে।
- আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলকে তারা স্বৈরাচারী শাসনের উদাহরণ হিসেবে উপস্থাপন করছে।
সামগ্রিকভাবে, বিএনপির এ বক্তব্য তাদের রাজনৈতিক অবস্থানকে পরিষ্কার করার একটি প্রচেষ্টা। তবে রাজনৈতিক বাস্তবতা এবং বিভিন্ন দলের কৌশলগত অবস্থান নির্বাচনের প্রাক্কালে আরও পরিবর্তিত হতে পারে।