
মিয়ানমারে ভূমিকম্পে নিহতদের স্মরণে ১ মিনিট নীরবতা
শুক্রবারের ৭.৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে মিয়ানমারের সাগাইং ও মান্দালয় শহরে ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞ হয়েছে। জান্তা সরকারের তথ্যমতে, এ পর্যন্ত দুই হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই মান্দালয় শহরের বাসিন্দা।
ভূমিকম্পের প্রভাব ও উদ্ধার কার্যক্রম
ভূমিকম্পে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মিয়ানমারের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মান্দালয়। ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধারে কাজ চলছে। তবে জান্তা সরকারের কারণে তথ্য প্রবাহ ধীর হওয়ায় প্রকৃত পরিস্থিতি জানা কঠিন হয়ে পড়েছে।
বাস্তুচ্যুত মানুষের দুর্ভোগ
মিয়ানমার-থাইল্যান্ড সীমান্তবর্তী অঞ্চলের মানুষ বাড়িতে ফিরতে ভয় পাচ্ছেন। বিদ্যুৎ, পানি এবং মৌলিক সুযোগ-সুবিধার অভাবে তারা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। শহরের অধিকাংশ এলাকা অন্ধকারে ডুবে আছে, খাবার ও পানীয় জলের সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে।
বিবিসির প্রতিবেদকের অভিজ্ঞতা
বিবিসির একটি দল ভূমিকম্পের একদিন পর মান্দালয়ে পৌঁছায়। শহরের অবস্থা বর্ণনা করে তারা জানিয়েছে, পুরো মান্দালয় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।
- শহরের রাস্তাঘাট অন্ধকারে আচ্ছন্ন।
- খাবার ও পানীয় জলের সংকট ভয়াবহ।
- হোটেলগুলোর অধিকাংশ বন্ধ থাকায় আশ্রয় পাওয়া কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
- ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় যোগাযোগ ব্যবস্থাও বিপর্যস্ত।
রাতের শেষ দিকে বড় ধরনের পরাঘাতে শহর আবার কেঁপে ওঠে, ফলে আতঙ্কিত মানুষজন নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধান করতে থাকে। বিবিসির প্রতিবেদকের দলটি হোটেল ছেড়ে কাছের একটি উপাসনালয়ে আশ্রয় নেয়।
মিয়ানমারের এই ভূমিকম্পে প্রাণহানি ও অবকাঠামোর ক্ষয়ক্ষতির প্রকৃত পরিমাণ এখনো পুরোপুরি স্পষ্ট নয়। তবে বিদ্যুৎ, পানি ও খাদ্য সংকটের কারণে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে। উদ্ধারকাজ চালানো এবং বাস্তুচ্যুতদের সহায়তায় আন্তর্জাতিক সহযোগিতা প্রয়োজন।