
আজকের দিনটা সবাইকে আপন করে নেওয়ার দিন: প্রধান উপদেষ্টা
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের ঈদ শুভেচ্ছা বক্তব্য মূলত সামাজিক সম্প্রীতি, ঐক্য এবং শান্তির বার্তা বহন করে। তিনি তার বক্তব্যে ঈদের তাৎপর্য ব্যাখ্যা করেছেন এবং সমাজে পারস্পরিক সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।
১. ঐক্য ও সম্প্রীতির গুরুত্ব
প্রধান উপদেষ্টা ঈদকে কেবল একটি ধর্মীয় উৎসব হিসেবে নয়, বরং এটি সামাজিক সংহতির প্রতীক হিসেবে উপস্থাপন করেছেন। তিনি বলেন, ঈদের মূল বার্তা হলো অতীতের বিভেদ ভুলে একসঙ্গে এগিয়ে যাওয়া। তার মতে, এই দিনটিকে শুধু উদযাপন করলেই হবে না, বরং মানুষে মানুষে দূরত্ব কমানোর একটি মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করতে হবে।
২. পারস্পরিক সৌহার্দ্যের আহ্বান
অধ্যাপক ইউনূস উল্লেখ করেন, ঈদ শুধু শুভেচ্ছা বিনিময়ের দিন নয়, বরং একে অপরকে আপন করে নেওয়ার দিন। তিনি বিশেষভাবে কোলাকুলির মাধ্যমে পারস্পরিক সম্পর্ক দৃঢ় করার গুরুত্ব তুলে ধরেন। এটি শুধুমাত্র একটি আনুষ্ঠানিকতা নয়, বরং ধর্মীয়ভাবে নির্দেশিত এবং সমাজে সৌহার্দ্য তৈরির একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায়।
৩. সমাজে শান্তির প্রয়োজনীয়তা
তিনি জোর দিয়ে বলেন, দেশের জন্য শান্তি অত্যন্ত জরুরি। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, মানুষ যেন ভয়ের মধ্যে না থেকে স্বাধীনভাবে জীবনযাপন করতে পারে। তার মতে, শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য পরস্পরের প্রতি সহনশীলতা ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলা অপরিহার্য।
৪. বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপট
অধ্যাপক ইউনূস এবারকার ঈদকে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ বলে আখ্যায়িত করেন। বর্তমান সময়ে বিভক্ত সমাজকে ঐক্যবদ্ধ করাই সবচেয়ে জরুরি বলে তিনি মনে করেন। সামাজিক ও রাজনৈতিক বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে তার এই বক্তব্য দেশের বর্তমান পরিস্থিতির সঙ্গে গভীরভাবে সম্পর্কিত।
প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য মূলত জাতীয় ঐক্য, সহমর্মিতা ও পারস্পরিক সহযোগিতার গুরুত্ব তুলে ধরে। তিনি চান, মানুষ বিভাজন ভুলে ঐক্যবদ্ধ হোক এবং শান্তিপূর্ণ সমাজ গড়ে তুলুক। তার বক্তব্য ঈদের সার্বজনীনতা এবং মানবিক মূল্যবোধকে নতুনভাবে উপলব্ধি করার আহ্বান জানায়।