
‘আন্তর্জাতিক সাহসী নারী’ পুরস্কার পাওয়ায় জুলাইকন্যাদের প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন
যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের মর্যাদাপূর্ণ ‘ইন্টারন্যাশনাল উইমেন অব কারেজ’ (আন্তর্জাতিক সাহসী নারী) পুরস্কার পেয়েছেন ২০২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া সাহসী নারীরা। এই অর্জনের জন্য তাঁদের আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, শান্তিতে নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
জুলাই কন্যাদের প্রতি অভিনন্দন বার্তা
রোববার পাঠানো এক অভিনন্দন বার্তায় অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘তোমাদের সবাইকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি। এই স্বীকৃতি তোমাদের অসাধারণ সাহসিকতা, নেতৃত্ব এবং গণতন্ত্রের প্রতি অটল অঙ্গীকারের শক্তিশালী প্রমাণ। সেই সংকটময় সময়ে তোমাদের ভূমিকা সত্যিকার সাহসিকতার উদাহরণ সৃষ্টি করেছে।’
তিনি আরও উল্লেখ করেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দিয়ে এসব নারী শুধু প্রতিরোধের প্রতীক হয়ে ওঠেননি, বরং জাতিকে আশার আলোও দেখিয়েছেন। সহিংস দমন-পীড়নের মুখে পুরুষ সহযোদ্ধাদের ঢাল হিসেবে দাঁড়ানো এবং ইন্টারনেট বন্ধ থাকার পরও ন্যায়বিচারের জন্য লড়াই চালিয়ে যাওয়ার উদ্ভাবনী উপায় খুঁজে বের করায় তাঁদের প্রশংসা করেন তিনি।
বাংলাদেশের জন্য গর্বের মুহূর্ত
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘তোমাদের শক্তি, দৃঢ়তা এবং সংকল্প অগণিত মানুষকে অনুপ্রাণিত করেছে। তোমাদের নিঃস্বার্থ প্রচেষ্টা আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় যে ন্যায়বিচারের লড়াই কখনোই সহজ নয়, তবে তা সর্বদা মূল্যবান। তোমরা প্রকৃত নেতৃত্ব ও ত্যাগের অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছ এবং তোমাদের সাহসের মাধ্যমে বাংলাদেশের জন্য আরও উজ্জ্বল ও ন্যায়সংগত ভবিষ্যতের পথ তৈরি করেছ।’
তিনি আরও বলেন, দেশবাসী এই অর্জনে গর্বিত এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তাঁদের পাশে রয়েছে। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, বাংলাদেশ এগিয়ে যাওয়ার পথে এই সাহসী নারীরা নেতৃত্বের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবেন।
‘আন্তর্জাতিক সাহসী নারী’ পুরস্কার অর্জন করা শুধু জুলাই কন্যাদের জন্য নয়, বরং পুরো বাংলাদেশের জন্য এক অনন্য গৌরবের বিষয়। তাঁদের সাহসিকতা ও আত্মত্যাগ গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার ও স্বাধীনতার সংগ্রামে একটি অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে। অধ্যাপক ইউনূস তাঁদের উদ্দেশে বলেন, ‘তোমরা সমগ্র বাংলাদেশকে গর্বিত করেছ। আরও একবার এই অসাধারণ অর্জনের জন্য অভিনন্দন।’