নির্বাচন বিলম্বিত হয় এমন সংস্কারকে ‘না’ বলবে বিএনপি
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংস্কার সুপারিশের বিষয়ে বিএনপি এখনো মতামত জমা দেয়নি। দলটি নীতিগতভাবে নির্বাচিত সংসদের মাধ্যমে রাষ্ট্র সংস্কারের পক্ষে অবস্থান নিয়ে সুপারিশের বিষয়ে মতামত প্রস্তুত করছে।
বিএনপির অবস্থান:
১. প্রশাসন, বিচার ও দুর্নীতি দমন: মৌলিক সংস্কারে আপত্তি নেই। ২. সংবিধান সংস্কার: নির্বাচিত সংসদের এখতিয়ার হিসেবে গণ্য করে বিএনপি এ প্রক্রিয়ায় আপাতত একমত নয়। ৩. নির্বাচন ও প্রশাসনিক সংস্কার: অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের লক্ষ্যে সংবিধান ও নির্বাচনব্যবস্থার সংস্কার গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করে বিএনপি। ৪. ফ্যাসিস্ট সরকারবিরোধী অবস্থান: সংবিধানের বিভিন্ন সংশোধনীকে ক্ষমতা পাকাপোক্ত করার হাতিয়ার হিসেবে দেখে বিএনপি।
মতামত চাওয়া ও প্রতিক্রিয়া:
- ঐকমত্য কমিশন ৬ মার্চ ৩৭টি রাজনৈতিক দলকে ১৬৬টি সুপারিশের বিষয়ে মতামত জানাতে অনুরোধ করে।
- বিএনপিসহ ১৪টি দল এখনো মতামত জমা দেয়নি, তবে শিগগির তা দেবে বলে জানিয়েছে।
- যুগপৎ আন্দোলনের শরিকদের সঙ্গে আলোচনা করে বিএনপি একক ও সম্মিলিত মতামত প্রস্তুত করছে।
- স্থায়ী কমিটির বৈঠকে বিএনপির দলীয় মতামত চূড়ান্ত করা হয়েছে।
বিএনপির কিছু নির্দিষ্ট অবস্থান:
১. সংবিধান সংশোধন: নির্বাচিত সংসদের এখতিয়ার বলে মনে করে। 2. গণপরিষদ নির্বাচন ও সেকেন্ড রিপাবলিক: বিএনপি এগুলো নাকচ করেছে। 3. সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন ও প্রাদেশিক সরকার ব্যবস্থা: বিএনপির সমর্থন নেই। 4. তত্ত্বাবধায়ক সরকার: ৯০ দিনের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষে। 5. নির্বাচন কমিশন: নিয়োগ, দায়িত্ব ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতের জন্য আইন প্রণয়নের প্রস্তাব দেবে। 6. প্রধানমন্ত্রী পদের মেয়াদ: একই ব্যক্তি দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না, এমন প্রস্তাব দেবে।
পরবর্তী পদক্ষেপ:
- বিএনপি আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন করে তাদের মতামত প্রকাশ করবে।
- মিত্র দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শেষে মতামত কমিশনে জমা দেবে।
- দলটি স্প্রেডশিটের পাশাপাশি বিস্তারিত প্রতিবেদন জমা দেবে।
বিএনপি আশা করছে, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন নিরপেক্ষ অবস্থান বজায় রাখবে এবং কোনো পক্ষপাতমূলক বক্তব্য পরিহার করবে।
