
‘৮ নম্বর’ বিপৎসংকেতের অপেক্ষা
সৌদি আরবে প্রস্তুতি নিলেও কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেনি বাংলাদেশ ফুটবল দল। এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বের ম্যাচের আগে শিলংয়ে দলের পারফরম্যান্স কেমন হবে, তা নিয়ে খুব বেশি আলোচনা নেই। তবে আলোচনা চলছে একটি বিষয় নিয়েই—বাংলাদেশ দলে কোন পজিশনে খেলবেন হামজা চৌধুরী?
হামজার অবস্থান ও ভূমিকা
বাংলাদেশ কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা মূলত হামজাকে হোল্ডিং মিডফিল্ডার হিসেবে খেলানোর পরিকল্পনা করেছেন। তবে তাঁকে পুরোপুরি রক্ষণাত্মক ভূমিকায় না রেখে মাঝমাঠে স্বাধীনভাবে খেলার সুযোগ দেওয়া হবে। যার অর্থ, ইংলিশ লিগে খেলা এই মিডফিল্ডার ৮ নম্বর পজিশনে বক্স-টু-বক্স ফুটবলার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
বিশ্বের অন্যতম সেরা ফুটবল অবকাঠামোর মধ্যে বেড়ে ওঠায় আধুনিক ফুটবলের মৌলিক বিষয়গুলো তাঁর রপ্ত করা। তাই কোচের কৌশল বাস্তবায়নে হামজার চেয়ে কার্যকর কেউ নেই বাংলাদেশ দলে।
দলের নতুন ফরমেশন ও কৌশল
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ ৪-৪-২ ডায়মন্ড ফরমেশনে খেললেও এবার ৪-২-৩-১ ফরমেশন বেছে নিতে যাচ্ছেন কোচ ক্যাবরেরা। এতে দলকে আরও রক্ষণাত্মক ভারসাম্য এনে দেওয়ার জন্য হৃদয় ও হামজাকে ‘ডাবল পিভট’ হোল্ডিং মিডফিল্ডার হিসেবে খেলানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে।
এই কৌশলে—
- হৃদয় খেলবেন প্রথাগত ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার হিসেবে।
- হামজা থাকবেন ৮ নম্বর পজিশনে, যেখানে তিনি রক্ষণ ও আক্রমণের মধ্যে সেতুবন্ধন রচনা করবেন।
- এতে ভারতের শক্তিশালী মাঝমাঠ বাংলাদেশের ওপর চাপ প্রয়োগের সুযোগ কম পাবে।
হামজার শক্তিশালী দিক
হোল্ডিং মিডফিল্ডার হলেও হামজার পায়ে নিখুঁত ট্যাকল, দুর্দান্ত কাভারিং এবং বিপজ্জনক ক্রস মোকাবিলার অসাধারণ দক্ষতা রয়েছে। তাঁর অনুমান-ক্ষমতা ও লড়াকু মনোভাব পুরো ম্যাচজুড়ে দলকে রক্ষণ ও আক্রমণে সমানভাবে সাহায্য করবে।
সংক্ষেপে, হামজার গুরুত্ব
- রক্ষণভাগ ও আক্রমণভাগের মধ্যে যোগসূত্র তৈরি করা।
- বল দখলে থাকলে গোলের সুযোগ সৃষ্টি করা।
- প্রতিপক্ষের আক্রমণ রুখতে নির্ভরযোগ্য রক্ষণাত্মক ভূমিকা পালন করা।
বাংলাদেশ কোচের পরিকল্পনায় হামজার ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই ম্যাচে তাঁর পারফরম্যান্সই নির্ধারণ করবে, বাংলাদেশ কতটা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবে ভারতের বিপক্ষে।