
জাস্টিন ট্রুডোর সাধারণ জীবনযাপন ও বিদায়ের আবেগঘন মুহূর্ত
সম্প্রতি কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোকে একটি সুপার শপে একা বাজার করতে দেখা গেছে। ছবিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর দেশটির জনগণের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। অনেকেই মন্তব্য করেছেন, গণতন্ত্রের সৌন্দর্য এখানেই যে একজন রাষ্ট্রপ্রধানও সাধারণ নাগরিকের মতো জীবনযাপন করতে পারেন।
ছবিতে দেখা যায়, নিরাপত্তার কড়া বেষ্টনী ছেড়ে সাধারণ মানুষের মতোই শপিং করছেন ট্রুডো। তার এই দৃশ্য জনগণের মনে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। অনেকেই প্রশংসা করেন তার এই সাধারণ জীবনযাপনের মানসিকতার জন্য।
বিদায়ের আবেগঘন মুহূর্ত
ট্রুডোর ক্ষমতা ছাড়ার প্রাক্কালে তার টিনএজ মেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন,
“এতদিন আমরা আমাদের বাবাকে শুধু টিভির স্ক্রিনে দেখেছি, এখন আমরা আমাদের বাবাকে কাছে পেতে চাই।”
এই বক্তব্য তার পরিবার ও ব্যক্তিগত জীবনের প্রতি জনগণের নতুন করে দৃষ্টি আকর্ষণ করে।
জনপ্রিয় নেতা ও তার অবদান
একজন স্মার্ট ও সজ্জন রাজনীতিক হিসেবে ট্রুডো বরাবরই ছিলেন জনগণের পছন্দের তালিকায়। যদিও করোনা পরবর্তী সময়ে কানাডার অর্থনীতি কিছুটা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে, তবুও তিনি জনপ্রিয়তায় শীর্ষে ছিলেন। তার নেতৃত্বে কানাডা সামাজিক ও মানবিক নীতিতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধন করে।
ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক উত্তরাধিকার
জাস্টিন ট্রুডো রাজনীতির ঐতিহ্যবাহী এক পরিবার থেকে উঠে এসেছেন। তার প্রপিতামহ, পিতামহ সংসদ সদস্য ছিলেন এবং তার বাবা পিয়েরে ট্রুডো কানাডার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেশ পরিচালনা করেছেন। তিনিও দায়িত্ব পালন করেছেন নিষ্ঠার সঙ্গে।
ইতিমধ্যেই তিনি ঘোষণা দিয়েছেন যে, আর নির্বাচনে অংশ নেবেন না। তার বিদায়ে অনেকেই ব্যথিত, কারণ তিনি শুধু একজন রাজনীতিবিদ নন, বরং একজন সবার প্রিয় নেতা, যিনি কানাডার গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও আধুনিক চিন্তাধারার প্রতীক হয়ে উঠেছিলেন।