
গাজায় ইসরায়েলের হামলা জোরদার, যুদ্ধবিরতি আলোচনার মধ্যেই নতুন উত্তেজনা
যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা চলতে থাকলেও ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় হামলা আরও তীব্র করেছে ইসরায়েল। দখলদার দেশটির হামলায় শিশুসহ অন্তত আটজন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন আরও অনেকে।
ইসরায়েলের সামরিক হামলা ও হতাহতের ঘটনা
আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি ড্রোন গাজার নেটজারিম এলাকায় ফিলিস্তিনিদের লক্ষ্য করে হামলা চালালে বেশ কয়েকজন হতাহত হন। এছাড়া দক্ষিণ গাজার রাফার শোকা গ্রামে ড্রোন হামলায় এক ফিলিস্তিনি নারী নিহত হন।
এদিকে, খান ইউনিসের পূর্বাঞ্চলে ইসরায়েলি সেনারা ফিলিস্তিনি ঘরবাড়িতে গুলিবর্ষণ করেছে। মধ্য গাজার দেইর আল-বালাহ অঞ্চলে সীমান্তে মোতায়েন ইসরায়েলি সেনারা সরাসরি গুলি চালালে একটি শিশু নিহত হয়।
জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ত্রাণ সংস্থা গাজায় ত্রাণ প্রবেশে বাধা প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছে, তবে ইসরায়েল এখনো তাতে সাড়া দেয়নি।
যুদ্ধবিরতি আলোচনা ও হামাসের অবস্থান
গাজার যুদ্ধবিরতি নিয়ে দোহায় নতুন দফার আলোচনা শুরু হয়েছে। মার্কিন দূত স্টিভ উইটকফ এবং ইসরায়েলের প্রতিনিধিরা কাতারে পৌঁছানোর পর হামাসও আনুষ্ঠানিকভাবে আলোচনায় যোগ দেওয়ার ঘোষণা দেয়। হামাসের এক শীর্ষ নেতা জানান, তারা “ইতিবাচক ও দায়িত্বশীলতার সঙ্গে” আলোচনায় অংশ নিচ্ছে।
গাজায় চলমান যুদ্ধবিরতি তিনটি ধাপে কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে, যেখানে বন্দিবিনিময়, স্থায়ী শান্তিচুক্তি এবং ইসরায়েলি বাহিনীর সম্পূর্ণ প্রত্যাহার অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
ইসরায়েলি জাহাজে ফের হামলার ঘোষণা দিল হুতি যোদ্ধারা
এদিকে, ইয়েমেনের হুতি যোদ্ধারা ফের ইসরায়েলি জাহাজ লক্ষ্য করে সামরিক অভিযান চালানোর ঘোষণা দিয়েছে। তারা আগেই গাজায় ত্রাণ সরবরাহের অনুমতি দেওয়ার জন্য ইসরায়েলকে সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল। তবে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়ায় উপকূলীয় অঞ্চলে ইসরায়েলি জাহাজের ওপর নতুন করে হামলার হুমকি দিয়েছে হুতিরা।
সামগ্রিক পরিস্থিতি
যুদ্ধবিরতি আলোচনা চললেও ইসরায়েলের হামলা ও গাজায় অবরোধের ফলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠছে। একই সঙ্গে, হুতি যোদ্ধাদের নতুন সামরিক অভিযানের ঘোষণা মধ্যপ্রাচ্যের ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে।