
গাজা পুনর্গঠন পরিকল্পনায় আরব নেতাদের ঐকমত্য
ইসরায়েলি আগ্রাসনে বিধ্বস্ত গাজাকে পুনর্গঠনের লক্ষ্যে ৫,৩০০ কোটি ডলারের একটি পরিকল্পনায় ঐকমত্যে পৌঁছেছেন আরব বিশ্বের নেতারা। এই উদ্যোগটি ভবিষ্যতে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের (পিএ) অধীনে বাস্তবায়িত হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে ইসরায়েল এবং যুক্তরাষ্ট্র উভয়েই এ পরিকল্পনাকে নাকচ করেছে।
পরিকল্পনার পটভূমি ও লক্ষ্য
- মিসর এই পরিকল্পনা উত্থাপন করেছে, যা আরব দেশগুলোর সমর্থন পেয়েছে।
- এটি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গাজাকে ‘মধ্যপ্রাচ্যের রিভেরা’ বানানোর পরিকল্পনার একটি বিকল্প উদ্যোগ।
- জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসও এ পরিকল্পনাকে সমর্থন জানিয়েছেন।
ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের ভবিষ্যৎ ভূমিকা অনিশ্চিত
- পরিকল্পনায় গাজার শাসনব্যবস্থা ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের (পিএ) অধীনে আনার কথা বলা হলেও তা বাস্তবায়ন এখনও অনিশ্চিত।
- ইসরায়েল ইতোমধ্যে পিএর ভবিষ্যৎ ভূমিকা নাকচ করে দিয়েছে।
- ট্রাম্প তাঁর প্রথম মেয়াদে ফিলিস্তিনি মুক্তি সংস্থার (পিএলও) ওয়াশিংটন অফিস বন্ধ করে দিয়েছিলেন, যা যুক্তরাষ্ট্রের কঠোর অবস্থানের প্রতিফলন।
ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিক্রিয়া
- ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই পরিকল্পনাকে ‘বাস্তবতা উপেক্ষা করা’ বলে আখ্যায়িত করেছে।
- ট্রাম্প প্রশাসন সরাসরি এই পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান করেছে।
এই পরিকল্পনা গাজার পুনর্গঠনের জন্য একটি আশার আলো হিসেবে দেখা গেলেও বাস্তবায়ন কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছে। ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের বিরোধিতা, গাজার শাসনব্যবস্থা নিয়ে অনিশ্চয়তা এবং রাজনৈতিক বাস্তবতা—এসব কারণে এই উদ্যোগ কতটা সফল হবে, তা সময়ই বলে দেবে।