July 8, 2025
রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রদর্শনের নীতিমালা চেয়ে হাইকোর্টের রুল

রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রদর্শনের নীতিমালা চেয়ে হাইকোর্টের রুল

মার্চ ৩, ২০২৫

সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতির দণ্ড মওকুফ, স্থগিত বা হ্রাস করার ক্ষমতা প্রয়োগের ক্ষেত্রে নীতিমালা থাকা উচিত কি না—তা জানতে চেয়ে হাইকোর্ট রুল জারি করেছেন। আজ সোমবার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল দেন।

রিট ও আদালতের পর্যবেক্ষণ

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইশরাত হাসান গত ২০ জানুয়ারি এই নীতিমালা প্রণয়নের নির্দেশনা চেয়ে রিট দায়ের করেন। তাঁর যুক্তি, রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রদর্শনের ক্ষমতা প্রয়োগের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট নীতিমালা না থাকায় এটি স্বেচ্ছাচারিতার শিকার হতে পারে এবং রাজনৈতিক বিবেচনায় ক্ষমা প্রদানের ঝুঁকি থাকে।

আদালত রুল জারি করে জানতে চেয়েছেন—রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রদর্শনের ক্ষেত্রে নীতিমালা প্রণয়ন না করা কেন সংবিধানের ৭, ২৭, ৩১ ও ৩২ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হিসেবে ঘোষণা করা হবে না। একই সঙ্গে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইন মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

ক্ষমা প্রদর্শনের বিতর্ক ও প্রয়োজনীয়তা

বর্তমানে রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রদানের ক্ষমতা প্রয়োগের ক্ষেত্রে কোনো সুস্পষ্ট নিয়ম বা দিকনির্দেশনা নেই। অতীতে দেখা গেছে, বেশ কিছু হত্যা মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি রাষ্ট্রপতির ক্ষমায় মুক্তি পেয়েছেন। এটি অনেক ক্ষেত্রে রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে হয়ে থাকতে পারে বলে অভিযোগ রয়েছে। এ ধরনের ক্ষমা প্রদর্শনের ক্ষেত্রে নীতিমালা না থাকায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার অভাব দেখা যায়।

রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রদর্শনের ক্ষেত্রে নীতিমালা থাকা স্বচ্ছতা ও ন্যায়বিচারের স্বার্থে গুরুত্বপূর্ণ। হাইকোর্টের রুলের মাধ্যমে এই বিষয়টি নিয়ে এখন বিচারিক ও প্রশাসনিক পর্যায়ে আলোচনা শুরু হলো। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জবাবের পর বিষয়টির ভবিষ্যৎ দিক নির্ধারণ হবে।

Leave a Reply