
আশিক হত্যা মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের রিমান্ড
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থী আশিক হত্যা মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এই সিদ্ধান্তকে ঘিরে আদালতে উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি তৈরি হয়, যা মামলাটিকে আরও বিতর্কিত করেছে।
ঘটনার পটভূমি
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থী আশিক নিহত হন। এই ঘটনায় দায়ের করা মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে আসামি করা হয়।
বুধবার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. নূর মোহসীনের আদালতে মামলাটির শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। পুলিশ আনিসুল হককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানালেও, আদালতে আইনজীবীরা ১০ দিনের রিমান্ডের দাবি করেন। এতে আদালতে হট্টগোল ও উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
রিমান্ড নিয়ে বিতর্ক
১. রিমান্ডের মেয়াদ সংক্ষিপ্ত করার অভিযোগ:
- মামলাটির গুরুত্ব বিবেচনায় আইনজীবীরা অন্তত ৫ থেকে ১০ দিনের রিমান্ড দাবি করেছিলেন।
- পুলিশের পক্ষ থেকে মাত্র ৫ দিনের আবেদন করায় আইনজীবীরা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান।
- মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ও জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান এই বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
২. আদালতে উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি:
- পুলিশকে ভর্ৎসনা করা হয়, যা বিচারিক কার্যক্রমে বিরল ঘটনা।
- আইনজীবীদের দাবি ছিল, এটি হত্যা মামলা হওয়ায় দীর্ঘ রিমান্ড প্রয়োজন।
ঘটনার প্রভাব ও ভবিষ্যৎ করণীয়
✅ রাজনৈতিক ও আইনি বিতর্ক: সাবেক আইনমন্ত্রীর নাম যুক্ত থাকায় মামলাটি রাজনৈতিকভাবে সংবেদনশীল হয়ে উঠেছে।
✅ তদন্তের স্বচ্ছতা প্রশ্নবিদ্ধ: পুলিশ কেন মাত্র ৫ দিনের রিমান্ড চেয়েছে, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে।
✅ বিচার ব্যবস্থার স্বাধীনতা: আদালতে উত্তেজনার বিষয়টি বিচার ব্যবস্থার নিরপেক্ষতা ও কার্যকারিতার প্রশ্ন তুলছে।
আশিক হত্যা মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রীর রিমান্ড মঞ্জুর হওয়া গুরুত্বপূর্ণ আইনি পদক্ষেপ হলেও, রিমান্ডের মেয়াদ নিয়ে আদালতে যে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে, তা মামলার ভবিষ্যৎ তদন্তকে প্রভাবিত করতে পারে। যথাযথ তদন্ত ও স্বচ্ছ বিচার নিশ্চিত করা না গেলে, এ নিয়ে আরও রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে।