
মেক্সিকোর ওপর শুল্ক আরোপ স্থগিত করলেন ট্রাম্প
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মেক্সিকোর ওপর নতুন শুল্ক আরোপ এক মাসের জন্য স্থগিত করেছেন। এই সিদ্ধান্ত আসে তখন, যখন মেক্সিকো তাদের উত্তরের সীমান্তে ১০ হাজার ন্যাশনাল গার্ড সদস্য মোতায়েন করতে রাজি হয়। মূলত যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ মাদক পাচার বন্ধ করাই এই সিদ্ধান্তের প্রধান লক্ষ্য। একই সঙ্গে, মেক্সিকোতে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন অস্ত্র পাচার বন্ধের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
চুক্তির পটভূমি ও কারণ
🔹 ফেন্টানিল পাচার রোধের উদ্যোগ
- যুক্তরাষ্ট্রে ফেন্টানিল সংকট একটি গুরুতর সমস্যা।
- ট্রাম্প প্রশাসন মনে করে, মেক্সিকো থেকে যুক্তরাষ্ট্রে মাদক প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি।
- মেক্সিকো উত্তরের সীমান্তে ১০ হাজার ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েনের মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
🔹 উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন অস্ত্র পাচার বন্ধের প্রতিশ্রুতি
- মেক্সিকো অভিযোগ করে আসছে যে, যুক্তরাষ্ট্র থেকে মাদক চক্রের কাছে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন অস্ত্র পাচার হয়।
- ট্রাম্প প্রশাসন এই পাচার বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
🔹 ট্রাম্পের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কৌশল
- ট্রাম্পের নতুন শুল্ক নীতির অংশ হিসেবে মেক্সিকো, কানাডা ও চীনের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের ঘোষণা ছিল।
- তবে মেক্সিকোর সঙ্গে আলোচনার পর এই শুল্ক এক মাসের জন্য স্থগিত করা হয়েছে।
- চীনের ওপর নতুন শুল্ক ১০% বৃদ্ধি করা হয়েছে, যা বাণিজ্যযুদ্ধের অংশ।
- কানাডার ওপরও ২৫% শুল্ক কার্যকর হয়েছে।
শুল্ক স্থগিতের প্রভাব ও বিশ্লেষণ
✅ যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সম্পর্কের উন্নতি
- শুল্ক স্থগিত হওয়ায় মেক্সিকোর অর্থনীতি স্বস্তি পাবে।
- দুই দেশ পরবর্তী এক মাস আলোচনার মাধ্যমে আরও ভালো চুক্তিতে পৌঁছানোর চেষ্টা করবে।
✅ মেক্সিকোর অর্থনীতির স্থিতিশীলতা
- মেক্সিকো যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম প্রধান বাণিজ্যিক অংশীদার।
- শুল্ক কার্যকর হলে মেক্সিকোতে রপ্তানি শিল্প এবং বিনিয়োগ খাতে বড় ধাক্কা আসতে পারত।
✅ যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক কৌশল
- ট্রাম্প নিজের “আমেরিকা ফার্স্ট” নীতির অংশ হিসেবে কঠোর বাণিজ্যনীতি অব্যাহত রেখেছেন।
- শুল্ক হুমকি দিয়ে মেক্সিকোকে নিজের শর্তে রাজি করানো হয়েছে।
- এক মাস পর চুক্তি বাস্তবায়ন না হলে নতুন শুল্ক কার্যকর হতে পারে।
⚠ কানাডা ও চীনের জন্য নেতিবাচক প্রভাব
- কানাডা ও চীনের জন্য শুল্ক কার্যকর হচ্ছে, যা তাদের অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলবে।
- চীনের সঙ্গে বাণিজ্যযুদ্ধ আরও তীব্র হতে পারে।
এই চুক্তি যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকোর সম্পর্কের একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড়। ট্রাম্প প্রশাসন শুল্ক চাপিয়ে মেক্সিকোকে নিরাপত্তা ইস্যুতে ছাড় দিতে বাধ্য করেছে। তবে এক মাস পর এই আলোচনার ফল কী হবে, তা নির্ভর করবে উভয় দেশের অগ্রগতির ওপর। অন্যদিকে, কানাডা ও চীনের ওপর শুল্ক কার্যকর হওয়ায় বৈশ্বিক বাণিজ্যে নতুন উত্তেজনা সৃষ্টি হতে পারে।