
ফের রিমান্ডে সালমান এফ রহমান, আনিসুল হকসহ ৬ জন
রাজধানীর বাড্ডা থানাধীন এলাকায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় অটোরিকশাচালক হাফিজুল শিকদার হত্যার ঘটনায় দেশের রাজনীতি ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। এই মামলায় সাবেক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকসহ ছয়জনকে আদালত রিমান্ড দিয়েছেন।
ঘটনার সংক্ষিপ্ত বিবরণ:
গত ২০ জুলাই রাজধানীর বাড্ডার প্রগতি সরণি এলাকায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় অটোরিকশাচালক হাফিজুল শিকদার যাত্রীর জন্য অপেক্ষা করছিলেন। এ সময় আন্দোলন দমনের জন্য করা গুলিতে তিনি গুরুতর আহত হন এবং পরে মারা যান। এই ঘটনার পর ২১ আগস্ট বাড্ডা থানায় মামলা দায়ের করা হয়।
আদালতের সিদ্ধান্ত ও রিমান্ড:
আজ সোমবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জি এম ফারহান ইশতিয়াক মামলার শুনানি শেষে সাবেক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক বিচারপতি আবুল হোসেন মোহাম্মদ শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলাম, সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা. দীপু মনি এবং শ্রমিক লীগ নেতা গোলাম সারওয়ার পিন্টুকে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকাঃ
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও সিআইডির ঢাকা মেট্টোর উত্তরের পরিদর্শক রিদুয়ানুল হক আসামিদের বিরুদ্ধে পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষে পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন, অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল ও জামিনের আবেদন করেন। আদালত শুনানি শেষে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রতিক্রিয়া:
এই মামলায় উল্লেখযোগ্য রাজনৈতিক ব্যক্তিদের নাম থাকায় তা বিভিন্ন মহলে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। বিরোধী দলগুলো এই ঘটনায় সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। অন্যদিকে, মানবাধিকার সংস্থাগুলো নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছে।
এই মামলা শুধুমাত্র একটি হত্যাকাণ্ডের বিচার নয়, বরং বৃহত্তর সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের প্রতিফলন। আইনি প্রক্রিয়ার সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ পরিচালনার মাধ্যমে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা জরুরি। অন্যদিকে, সরকারের উচিত আন্দোলন দমনকল্পে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকা আরও সুসংহত করা, যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়ানো যায়।