
যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন বিতর্ক ও সেলেনা গোমেজ
যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসীদের বিতাড়নে নিরাপত্তা বাহিনী ঝটিকা অভিযান শুরু করেছে, যা প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন প্রশাসনের নির্দেশে পরিচালিত হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে গায়িকা-অভিনেত্রী সেলেনা গোমেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি আবেগঘন ভিডিও পোস্ট করেন, যেখানে তাকে অঝোরে কাঁদতে দেখা যায়। তবে ট্রাম্প–সমর্থকদের কঠোর সমালোচনার মুখে তিনি ভিডিওটি সরিয়ে নেন।
ট্রাম্পের প্রতিক্রিয়া ও বিতর্ক
গতকাল (শুক্রবার) হোয়াইট হাউসের অফিসিয়াল এক্স (পূর্ববর্তী টুইটার) অ্যাকাউন্ট থেকে একটি ভিডিও শেয়ার করেন ট্রাম্প। ভিডিওতে তিন নারীকে দেখানো হয়, যারা দাবি করেন যে তাদের সন্তান অবৈধ অভিবাসীদের হাতে নিহত হয়েছে। ভিডিওতে এক নারী বলেন, ‘ভিডিওটি দেখে তা বিশ্বাসযোগ্য মনে হয়নি, কারণ তিনি একজন অভিনেত্রী।’
সেলেনার বক্তব্য ও প্রতিক্রিয়া
এর আগে ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে দেওয়া ভিডিও বার্তায় সেলেনা কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘সবাইকে বলতে চাই, আমি খুবই দুঃখিত। অনেকেই হামলার শিকার হচ্ছেন, শিশুরাও বাদ যাচ্ছে না। আমি বুঝতে পারছি না, কী হচ্ছে। যদি আমি কিছু করতে পারতাম! কিন্তু সেটা সম্ভব নয়। আমি প্রতিজ্ঞা করছি, যা পারি, করব।’
কিন্তু ট্রাম্পের অভিবাসন নীতির বিরুদ্ধে তার এই আবেগঘন বার্তা কড়া সমালোচনার মুখে পড়ে। অনেকেই তাকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কারের দাবি তোলে। অনলাইনে প্রবল সমালোচনার কারণে অবশেষে সেলেনা তার ভিডিও বার্তা মুছে দেন।
সেলেনার পারিবারিক ইতিহাস ও অভিবাসন ইস্যু
এটি প্রথমবার নয়, এর আগেও সেলেনা গোমেজ অভিবাসন নীতির সমালোচনা করেছেন। ২০২৩ সালের অক্টোবরে ‘এমিলিয়া গোমেজ’ ছবির প্রচারের সময় দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, ‘অবশ্যই আমি মানুষের পাশে দাঁড়াতে চাই।’
প্রসঙ্গত, সেলেনা গোমেজের পরিবার মেক্সিকো থেকে যুক্তরাষ্ট্রে এসেছে। ১৯৭০ সালে তার দাদা-দাদি ও ফুফু সীমান্ত পেরিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে আসেন এবং পরে টেক্সাসে স্থায়ী হন। অভিবাসন ইস্যু নিয়ে নিজের শিকড়ের কারণেই তিনি বারবার সরব হয়েছেন।