
সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ: ব্যবস্থা নিতে দুদকের চিঠি
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে ব্যবস্থা নিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, প্লট জালিয়াতি, অনিয়মিত পরিচালক নিয়োগ, দ্বৈত নাগরিকত্ব, উপঢৌকন গ্রহণ ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের ভিত্তিতে সংস্থাটি তদন্ত শুরু করেছে। এ বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে অবহিত করা হয়েছে, যাতে তারা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পারে।
দুদকের চিঠির বিষয়বস্তু
দুদকের সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন স্বাক্ষরিত চিঠিটি ২১ জানুয়ারি স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে পাঠানো হয়। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়—
✅ রাষ্ট্রীয় সম্পদের অপব্যবহার করে এবং নিয়মবহির্ভূত কার্যকলাপের মাধ্যমে পুতুলকে ডব্লিউএইচওর আঞ্চলিক পরিচালক পদে মনোনীত করা হয়েছে।
✅ মনোনয়নের সময় তিনি কানাডার নাগরিক ছিলেন, যা এই পদের জন্য শর্তভঙ্গের সামিল।
✅ দুর্নীতির মাধ্যমে ঢাকার পূর্বাচল নতুন শহর আবাসিক প্রকল্পে ১০ কাঠা প্লট বরাদ্দ নেন। এ ঘটনায় তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক।
✅ সূচনা ফাউন্ডেশন নামের একটি প্রতিষ্ঠান চালু করে ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে রাষ্ট্রীয় তহবিল থেকে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন এবং অন্যদেরও সুবিধা পাইয়ে দিয়েছেন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সম্ভাব্য ব্যবস্থা
দুদকের নিয়ম অনুযায়ী, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান ও মামলা হলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারে। এ ক্ষেত্রে পুতুলকে সাময়িক বরখাস্ত, বিভাগীয় মামলা দায়ের বা অন্য শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।
সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগগুলো গুরুতর এবং এর আইনি পরিণতি কী হবে, তা এখন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও দুদকের তদন্তের ওপর নির্ভর করছে। তবে বিষয়টি ইতোমধ্যে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।