July 16, 2025
শোবিজ তারকাদের বিরুদ্ধে একের পর এক বাধা, এবার ভুক্তভোগী অপু বিশ্বাস

শোবিজ তারকাদের বিরুদ্ধে একের পর এক বাধা, এবার ভুক্তভোগী অপু বিশ্বাস

জানু ২৯, ২০২৫

সম্প্রতি শোবিজ অঙ্গনের তারকারা একের পর এক বাধার মুখে পড়ছেন। চট্টগ্রামে মেহজাবীন চৌধুরী ও টাঙ্গাইলে পরীমণির পর এবার রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে একই পরিস্থিতির শিকার হলেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী অপু বিশ্বাস। স্থানীয় ধর্মীয় গোষ্ঠীর আপত্তির কারণে বাতিল করা হয়েছে তার অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার পরিকল্পনা।

কী ঘটেছিল?

গত মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) কামরাঙ্গীরচরের ‘সোনার থালা’ নামের একটি রেস্তোরাঁ উদ্বোধনে প্রধান অতিথি হিসেবে আমন্ত্রিত ছিলেন অপু বিশ্বাস। কিন্তু স্থানীয় কিছু ব্যক্তি, যাদের ‘মুসল্লি’ বলে উল্লেখ করা হচ্ছে, এ বিষয়ে আপত্তি জানিয়ে থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর পুলিশের হস্তক্ষেপে রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষ অপু বিশ্বাসকে ছাড়াই উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সম্পন্ন করে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কামরাঙ্গীরচর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শেখ লুৎফর রহমান

তিনি জানান, ‘স্থানীয় হুজুররা এসে অভিযোগ জানানোর পর আমরা রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলি। তারা বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে অপুকে ছাড়াই উদ্বোধন সম্পন্ন করেন।’

বিতর্কিত ভিডিও প্রকাশ

থানায় অভিযোগ দেওয়ার পর স্থানীয় কয়েকজন একটি ভিডিও প্রকাশ করেন, যেখানে দেখা যায়, এক ব্যক্তি বলছেন—
‘নায়িকা-নর্তকী এনে উদ্বোধন করা কিছুতেই ঠিক হবে না। এতে জনগণ উত্তেজিত হয়ে যাচ্ছে। স্থানীয় মাদ্রাসার ওলামায়ে কেরামও আপত্তি জানিয়েছেন। আমরা প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছি, যেন অপু বিশ্বাস এখানে না আসতে পারেন।’

অপু বিশ্বাসের প্রতিক্রিয়া

এই ঘটনার পর থেকে অপু বিশ্বাস নিরব রয়েছেন। একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

শোবিজ তারকাদের প্রতি বাড়তি চাপ?

একের পর এক তারকার অনুষ্ঠানে বাধা দেওয়ার ঘটনা শোবিজ অঙ্গনের জন্য এক ধরনের হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিছু ধর্মীয় গোষ্ঠী বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে তারকাদের জনসমাগম এড়ানোর চেষ্টা করছে।

এর আগে—

  • চট্টগ্রামে মেহজাবীন চৌধুরীর একটি অনুষ্ঠানে বাধা দেওয়া হয়েছিল।
  • টাঙ্গাইলে পরীমণির ওপর চড়াও হয় একদল মানুষ।
  • এবার একই পরিস্থিতির শিকার হলেন অপু বিশ্বাস

এই ধরণের ঘটনা মুক্ত সংস্কৃতি ও বিনোদন অঙ্গনের জন্য এক ধরনের চাপ তৈরি করছে বলে মত বিশ্লেষকদের।

শিল্পীদের কাজ কেবল অভিনয় নয়, তাদের সামাজিক উপস্থিতিও গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে কিছু গোষ্ঠীর আপত্তির মুখে তাদের জনসমাগম সীমিত হচ্ছে। এটি মুক্ত সংস্কৃতি ও বিনোদনশিল্পের জন্য নেতিবাচক দিক হয়ে দাঁড়াতে পারে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উচিত বিষয়গুলো গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা, যাতে ভবিষ্যতে শিল্পীরা নির্বিঘ্নে তাদের কাজে অংশ নিতে পারেন।

Leave a Reply