
বিচার বিভাগ সংস্কার ও বিচারপতি নিয়োগ নিয়ে এবি পার্টির মন্তব্য
বিচার বিভাগ সংস্কার এবং বিচারপতি নিয়োগপ্রক্রিয়া নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের গৃহীত পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে এবি পার্টি। তবে দলটি মনে করে, বিচার বিভাগে কাঙ্ক্ষিত ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে বিচারপতি নিয়োগের পাশাপাশি অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রেও সংস্কার প্রয়োজন।
বিচারপতি নিয়োগসংক্রান্ত অধ্যাদেশ:
২০২৫ সালের ২১ জানুয়ারি অন্তর্বর্তী সরকার বিচারপতি নিয়োগসংক্রান্ত একটি অধ্যাদেশ জারি করে। এটি উচ্চ আদালতের বিচারপতি নিয়োগপ্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা আনার উদ্যোগ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এবি পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক যোবায়ের আহমেদ ভুইয়া এই পদক্ষেপকে ইতিবাচক হিসেবে মূল্যায়ন করেন।
এবি পার্টির বক্তব্য:
- নিম্ন আদালতের পিপি ও এপিপি নিয়োগে স্বচ্ছতা
দলের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান ফুয়াদ জানান, নিম্ন আদালতে পিপি (Public Prosecutor) এবং এপিপি (Assistant Public Prosecutor) নিয়োগে কোনো সুনির্দিষ্ট স্বচ্ছ প্রক্রিয়া নেই। এতে বিচারব্যবস্থার প্রতি জনগণের আস্থা কমে যাচ্ছে। - বিচারক নিয়োগের যোগ্যতা
ফুয়াদ আরও উল্লেখ করেন, বিচারক নিয়োগে শুধু বিজিএস (Bangladesh Judicial Service) পরীক্ষার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া যথেষ্ট নয়। বিচারক হতে হলে কমপক্ষে পাঁচ বছরের আইনজীবী হিসেবে অভিজ্ঞতা থাকা উচিত। এটি বিচারকদের বাস্তব জ্ঞান ও দক্ষতা উন্নত করতে সহায়ক হবে।
বার কাউন্সিলসহ অন্যান্য বিষয়ে সংস্কারের প্রস্তাব:
এবি পার্টি মনে করে, বিচার বিভাগে কাঙ্ক্ষিত ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে শুধু বিচারপতি নিয়োগ নয়, বার কাউন্সিল এবং বিচারব্যবস্থার অন্যান্য কাঠামোগত বিষয়ে সংস্কার প্রয়োজন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থাপিত প্রস্তাব:
- নিম্ন আদালতে পিপি ও এপিপি নিয়োগে স্বচ্ছতা আনতে নির্ধারিত নীতিমালা প্রণয়ন।
- বিচারক নিয়োগে পাঁচ বছরের আইনি অভিজ্ঞতা বাধ্যতামূলক করা।
- বার কাউন্সিলের কার্যক্রম আরও কার্যকর ও জবাবদিহিমূলক করা।
উপস্থিত নেতৃবৃন্দ:
এবি পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন দলের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক যোবায়ের আহমেদ ভুইয়া, আবদুল্লাহ আল মামুন রানা, সানী আবদুল হক, এবং অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
এবি পার্টি বিচার বিভাগ সংস্কার এবং বিচারপতি নিয়োগের পদক্ষেপকে ইতিবাচক আখ্যা দিয়ে স্বচ্ছতার ওপর জোর দিয়েছে। তবে দলটি মনে করে, বিচার বিভাগের কাঠামোগত সংস্কার, বিশেষ করে নিম্ন আদালতে স্বচ্ছ নিয়োগ প্রক্রিয়া এবং বার কাউন্সিলের উন্নয়ন ছাড়া এই উদ্যোগ জনগণের কাঙ্ক্ষিত ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে সক্ষম হবে না।