ঢাবির প্রবেশগেটের বাইরে ঢাকা কলেজ, ভেতরে এফ আর হলের শিক্ষার্থীদের অবস্থান
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মামুন আহমেদের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের অশোভন আচরণের অভিযোগ এবং তাদের আন্দোলন, একটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা তুলে ধরছে, যা শুধুমাত্র একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বা কলেজের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে সীমাবদ্ধ নয়, বরং এটি শিক্ষাব্যবস্থা এবং শিক্ষার্থীদের মৌলিক অধিকার সম্পর্কেও আলোকপাত করছে।
শিক্ষার্থীরা যে অভিযোগ তুলেছেন, তা মূলত শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয়তা এবং তাদের সাথে প্রশাসনের সম্পর্কের মধ্যে গ্যাপকে স্পষ্ট করে। শিক্ষার্থীরা জানান যে, সাত কলেজের সমস্যা এবং ভর্তির আসন সংখ্যা কমানোর বিষয়ে প্রো-ভিসি থেকে কোনো সদুত্তর না পাওয়ার কারণে তাদের মনে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। এতে শিক্ষার্থীদের প্রতি অশোভন আচরণের অভিযোগ ওঠে, যা তাঁদের আন্দোলনের সূচনা।
তাদের আন্দোলনের মূল দাবিগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে ভর্তি পরীক্ষায় অযৌক্তিক কোটা পদ্ধতি বাতিল করা, শ্রেণীকক্ষের ধারণক্ষমতা অনুযায়ী ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা করা, এবং ভর্তি পরীক্ষায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা। এই দাবিগুলোর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা যে বিষয়গুলো তুলে ধরছেন, তা নিশ্চিত করতে গেলে প্রশাসন এবং মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমন্বয় ও সুসম্পর্ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
পুলিশের ব্যারিকেড এবং শিক্ষার্থীদের লাঠিসোটা নিয়ে অবস্থান এ কথা প্রমাণ করছে যে, পরিস্থিতি একেবারেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। এই ধরনের আন্দোলন শুধুমাত্র একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্যা নয়, বরং একটি বৃহত্তর শিক্ষা ব্যবস্থার সমস্যাকে প্রতিফলিত করে। এটি বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের অধিকার ও তাঁদের প্রতি প্রশাসনের দায়বদ্ধতার বিষয়ে একটি বড় প্রশ্ন তুলে রাখে।
অর্থাৎ, এই আন্দোলন শিক্ষাব্যবস্থার গুণগত মান, স্বচ্ছতা, এবং শিক্ষার্থীদের প্রতি যথাযথ আচরণের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তৈরি করছে।
