যে চুক্তিতে ৪ ইসরায়েলি নারী সেনাকে ছাড়ল হামাস
গাজায় চলমান যুদ্ধবিরতির মধ্যে হামাসের পক্ষ থেকে ইসরায়েলের চার নারী সেনাসদস্যকে মুক্তি দেওয়ার ঘটনা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুযায়ী, হামাস ৩৩ জন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে, যার মধ্যে ৪ জন নারী সেনা সদস্য রয়েছেন। তাদের নাম হল- লিরি আলবাগ, কারিনা আরিয়েভ, ডেনিয়েলে গিলবোয়া এবং নামা লেভি। এই চার নারী সেনাকে রেডক্রসের মাধ্যমে গাজার ফিলিস্তিন স্কয়ারে ইসরায়েলের হাতে হস্তান্তর করা হয়। এরপর তারা প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য ইসরায়েলে নিয়ে যাওয়া হবে, এবং পরে তাদের পরিবারকে ফেরত দেওয়া হবে।
এদিকে, চুক্তি অনুসারে, ইসরায়েল ২০০ জন ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, যা যুদ্ধবিরতির অব্যাহত থাকার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ শর্ত। যুদ্ধবিরতির প্রথম দফায় ইসরায়েল ৭৩৭ জন ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেয় এবং হামাস ৩ জন জিম্মিকে মুক্তি দেয়। এই চুক্তি যুদ্ধের অবসান এবং মানবিক পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক করার চেষ্টা হিসেবে দেখা যাচ্ছে।
গাজার পরিস্থিতি অত্যন্ত দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় ইসরায়েলি ভূখণ্ডে প্রায় ১,২০০ জন নিহত হন এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যাওয়া হয়। এর পর থেকে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা অব্যাহত থাকে, যার ফলে ৪৭,২০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১,১০,০০০ এর বেশি আহত হয়েছেন। গাজার বেসামরিক মানুষজন সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, এবং প্রায় ২৩ লাখ বাসিন্দা বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
এটি একটি নৃশংস সংঘাত, যার ফলে মানবিক সংকট তীব্র হচ্ছে। যুদ্ধবিরতি এবং বন্দী মুক্তির মাধ্যমে কিছুটা হলেও এই সংকটের কিছুটা সমাধান হতে পারে, তবে পুরোপুরি শান্তি প্রতিষ্ঠিত হতে দীর্ঘ সময় এবং কূটনৈতিক চেষ্টার প্রয়োজন হবে।
