July 7, 2025
দল ডুবিয়ে পলাতক নেতারা ভোগান্তিতে সাধারণ কর্মীরা

দল ডুবিয়ে পলাতক নেতারা ভোগান্তিতে সাধারণ কর্মীরা

জানু ২৫, ২০২৫

মৌলভীবাজারে সম্প্রতি রাজনৈতিক পরিস্থিতি এক বিপর্যস্ত অবস্থায় পৌঁছেছে। ৫ মাস আগেও যারা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে ছিলেন এবং তাদের সিদ্ধান্তে জেলার রাজনৈতিক পরিস্থিতি অনেকটাই নির্ধারিত হতো, আজ তারা সকলে বা তো আত্মগোপনে চলে গেছেন, অথবা বিদেশে চলে গেছেন। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয় এবং এর পর থেকে মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের অনেকেই বিদেশে পাড়ি জমিয়েছেন বা আত্মগোপনে রয়েছেন।

তবে, এই শীর্ষ নেতাদের পালানোর পর, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে তৃণমূল নেতাকর্মীরা অত্যন্ত কষ্টকর পরিস্থিতিতে পড়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে মামলা, হামলা এবং নির্যাতন চলছে। ফলে, তারা রাজনৈতিক পরিস্থিতির শিকার হয়ে পড়েছেন। আর, এই সময়েই বিএনপি-জামায়াতের নেতারা শূন্যস্থান পূরণ করে প্রশাসনিক এবং বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।

এদিকে, যারা আওয়ামী লীগ সরকারের সময় রাজনীতি এবং ক্ষমতার সুবিধা উপভোগ করেছেন, তাদের মধ্যে অনেকেই এখন গা-ঢাকা দিয়েছেন। একসময় তারা দলের কার্যক্রম পরিচালনা করেছিলেন এবং বিভিন্ন দলে বাণিজ্য করতেন, এখন তারা পালানোর চেষ্টা করছেন। জেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকজন নেতার নাম এসেছে, যারা বিদেশে চলে গেছেন বা আত্মগোপন করে আছেন। এর মধ্যে আছেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আকিল আহমদ, সদস্য এম এ রহিম শহীদ, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালিক তরফদার, যুবলীগের সভাপতি সৈয়দ রেজাউর রহমান সুমন, রাজনগর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান শাহজাহান খান এবং আরো অনেক নেতার নাম।

এক সময় যাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ উঠেছিল, তারা এখন দলের মধ্যে নিজেদের অবস্থা টিকিয়ে রাখতে চেষ্টা করছেন না, বরং পালিয়ে যাচ্ছেন। এই সময়ে সাধারণ নেতাকর্মীরা তাদের বিরুদ্ধে চলমান মামলা ও হামলার কারণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন। মৌলভীবাজার জেলার আওয়ামী লীগের সদস্য সাইফুর রহমান বাবুল জানাচ্ছেন, অনেক নেতাই ৫ আগস্টের পর দলের পতনের পর বিদেশে চলে গেছেন।

এছাড়া, আরও অনেক নেতার নাম এসেছে, যারা রাজনৈতিক সঙ্কটের পর আত্মগোপন করেছেন, তাদের মধ্যে রয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নেছার আহমদ, সাধারণ সম্পাদক মিছবাউর রহমান, সাবেক এমপি মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান, শ্রীমঙ্গল উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অর্ধেন্দু দেব, এবং আরও অনেক নেতার নাম।

এই পরিস্থিতিতে, দলের তৃণমূল নেতাকর্মীরা যদি আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করতেন, তবে তারা হয়রানি থেকে কিছুটা রেহাই পেতে পারতেন। তবে এখনকার এই সঙ্কটময় পরিস্থিতিতে দলীয় নেতৃত্বের অভাবে তৃণমূল নেতাদের জন্য সমস্যাগুলি আরো জটিল হয়ে উঠেছে।

Leave a Reply