July 8, 2025
যুক্তরাষ্ট্রে গ্রিন কার্ডের আবেদন করতে লাগছে না করোনা টিকার সনদ

যুক্তরাষ্ট্রে গ্রিন কার্ডের আবেদন করতে লাগছে না করোনা টিকার সনদ

জানু ২৩, ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ী বাসিন্দা হওয়ার জন্য গ্রিন কার্ডের আবেদন প্রক্রিয়ায় একটি বড় পরিবর্তন এনেছে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। এখন থেকে আবেদনকারীদের আর করোনাভাইরাসের টিকা গ্রহণের প্রমাণ জমা দিতে হবে না। যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব ও অভিবাসন সংস্থা (ইউএসসিআইএস) জানিয়েছে, কোভিড-১৯ টিকা সংক্রান্ত নথি জমা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা মওকুফ করা হয়েছে।

১. গ্রিন কার্ড আবেদন প্রক্রিয়ার পরিবর্তন

কোভিড-১৯ মহামারির সময় টিকার প্রমাণ দেখানো বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল। তবে নতুন এই সিদ্ধান্ত অভিবাসন প্রক্রিয়াকে সহজ করবে।

  • আবেদনকারীদের টিকার নথি জমা দিতে হবে না।
  • সিদ্ধান্তটি অভিবাসন ব্যবস্থায় টিকার প্রভাব কমানোর ইঙ্গিত দেয়।

২. অভিবাসন নীতিতে ট্রাম্প প্রশাসনের কঠোরতা

দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর ট্রাম্প অভিবাসন নীতিতে আরও কঠোর হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

  • যেসব অভিবাসী টানা দুই বছর বা তার বেশি সময় যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসের প্রমাণ দিতে পারবেন না, তাদের দেশ থেকে বহিষ্কারের প্রক্রিয়া বাড়ানো হচ্ছে।
  • অবৈধ অভিবাসীদের সন্তানদের জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব পাওয়া সম্পর্কিত নতুন নির্বাহী আদেশ জারি করেছেন ট্রাম্প।

৩. জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব নিয়ে বিতর্ক

জন্মসূত্রে মার্কিন নাগরিকত্বের সুবিধা যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানে সুরক্ষিত। তবে ট্রাম্প এ সুবিধা বাতিলের চেষ্টা করছেন।

  • আইনি চ্যালেঞ্জ: ডেমোক্র্যাট-নিয়ন্ত্রিত ২২টি অঙ্গরাজ্য এবং ২টি শহর ট্রাম্পের আদেশের বিরুদ্ধে আইনি লড়াই করছে।
  • কঠিন বাস্তবতা: সংবিধান পরিবর্তন করতে কংগ্রেসের উভয় কক্ষে দুই-তৃতীয়াংশ সমর্থন প্রয়োজন, যা ট্রাম্পের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।

৪. মানবাধিকার সংগঠনের প্রতিক্রিয়া

ট্রাম্পের অভিবাসন নীতির বিরুদ্ধে বিভিন্ন নাগরিক অধিকার সংগঠন সরব হয়েছে।

  • তারা যুক্তরাষ্ট্রে টিকার বাধ্যবাধকতা বাতিলের প্রশংসা করলেও জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিলের সিদ্ধান্তে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
  • এই নীতিগুলো মানবাধিকারের পরিপন্থী এবং অভিবাসীদের জীবনযাত্রাকে আরও কঠিন করে তুলবে বলে তাদের দাবি।

ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন সিদ্ধান্ত অভিবাসন নীতিতে বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে। গ্রিন কার্ড আবেদন প্রক্রিয়া সহজ করলেও, অভিবাসন নীতিতে কঠোরতা এবং জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিলের চেষ্টা বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। আইনি বাধা ও মানবাধিকার সংগঠনগুলোর প্রতিরোধ ট্রাম্পের এই নীতিগুলো কার্যকর করতে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে।

Leave a Reply