July 7, 2025
নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মশিউর রহমান গ্রেপ্তার

নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মশিউর রহমান গ্রেপ্তার

জানু ২৩, ২০২৫

নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মশিউর রহমানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার রাতে রাজধানীর সায়েন্স ল্যাব এলাকায় বিসিএসআইআরের সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। নিউমার্কেট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহসীন উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

১. গ্রেপ্তারের পটভূমি

ওসি মোহসীন উদ্দিন জানান, মশিউর রহমানের বিরুদ্ধে নিউমার্কেট, শাহবাগ এবং ধানমন্ডি থানায় একটি করে মামলা রয়েছে। তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:

  • জুলাই মাসে ছাত্র আন্দোলনের সময় ছাত্র ও জনতার ওপর হামলার মামলা।
  • বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গাড়ি বহরে হামলার মামলা।

বুধবার রাত আটটার দিকে বিসিএসআইআর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

২. ছাত্রলীগের নিষিদ্ধ ঘোষণার পটভূমি

২০২3 সালের ২৪ অক্টোবর সন্ত্রাসবিরোধী আইনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করে আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়।
ছাত্রলীগের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়ার পর থেকে তাদের কার্যক্রম আইনগতভাবে অবৈধ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

৩. পরবর্তী পদক্ষেপ

পুলিশ জানিয়েছে, মশিউর রহমানকে বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির করা হবে। প্রয়োজন হলে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে রিমান্ডে নেওয়া হতে পারে। মামলাগুলোর তদন্তের অগ্রগতি এবং নতুন তথ্য সংগ্রহের জন্য তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়ে আদালতে আবেদন করা হবে।

৪. নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের কার্যক্রম ও রাজনৈতিক প্রভাব

ছাত্রলীগ একসময় আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন হিসেবে কাজ করলেও সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আওতায় নিষিদ্ধ ঘোষিত হওয়ার পর সংগঠনটি আইনবিরোধী হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কার্যক্রম, সহিংসতা, এবং নৈতিক ও সামাজিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ উঠেছে।

নিষিদ্ধ ঘোষিত হওয়ার পর থেকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও বিচারপ্রক্রিয়া সরকার এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ।

মশিউর রহমানের গ্রেপ্তার নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে চলমান আইনগত প্রক্রিয়ার অংশ। তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ এবং গ্রেপ্তারের প্রক্রিয়া রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
এই ঘটনা থেকে একটি বিষয় স্পষ্ট যে, সরকারের সন্ত্রাসবিরোধী নীতির আওতায় সংগঠনটির কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপর রয়েছে। তবে এই ধরনের প্রক্রিয়াগুলো সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারপ্রক্রিয়া নিশ্চিত করার ওপর নির্ভর করছে।

Leave a Reply