July 8, 2025
যে রাতে রাফিনিয়ায় ভর করেছিলেন নেইমার

যে রাতে রাফিনিয়ায় ভর করেছিলেন নেইমার

জানু ২২, ২০২৫

লিসবনে বেনফিকার বিপক্ষে বার্সেলোনার অবিশ্বাস্য প্রত্যাবর্তনকে রবীন্দ্রসঙ্গীতের “যে রাতে মোর দুয়ারগুলি ভাঙল ঝড়ে” এই লাইন দিয়ে মিলিয়ে দেখানো খুবই প্রাসঙ্গিক। এই ম্যাচে বার্সেলোনা প্রথমার্ধে ৩–১ ব্যবধানে পিছিয়ে ছিল এবং ৭৮ মিনিট পর্যন্তও তারা ৪–২ গোলে পিছিয়ে ছিল। তখন মনে হচ্ছিল, বার্সার আশা প্রায় শেষ হয়ে গেছে। তবে, শেষ মুহূর্তে রাফিনিয়ার দুর্দান্ত নৈপুণ্যে বার্সেলোনা ম্যাচটি ৫–৪ গোলে জিতে যায়, যা নিঃসন্দেহে অবিশ্বাস্য।

এই ম্যাচে রাফিনিয়ার ভূমিকা ছিল একেবারে নেইমারের মতো। ২০১৭ সালের পিএসজির বিপক্ষে চ্যাম্পিয়নস লিগে “লা রেমোনতাদা” (বার্সার চমকপ্রদ প্রত্যাবর্তন) যেটি স্মরণীয় হয়ে আছে, ঠিক তেমনি রাফিনিয়ার দুটি গোল, একটি নির্ধারিত সময়ে (৬৪ মিনিটে) এবং অন্যটি যোগ করা সময়ে (৯৬ মিনিটে), বার্সেলোনার জয়ের মূল কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এমনকি, রাফিনিয়া নিজেই একবার বলেছেন, “আবার জন্ম নিলে কোন ফুটবলার হতে চাই? নেইমার।”

অতীতে নেইমার যেভাবে বার্সার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন, সেভাবেই রাফিনিয়া এবারের মৌসুমে বার্সার গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় হিসেবে উঠে এসেছেন। তার এই অসাধারণ পারফরম্যান্সের ফলে তিনি নিজের ক্যারিয়ারের সেরা মৌসুম কাটাচ্ছেন। নেইমারের তুলনায় রাফিনিয়ার খেলার ধরন কিছুটা আলাদা হলেও, তাদের মধ্যে অন্তরের মিল রয়েছে। বিশেষত, রাফিনিয়ার সাহসী মনোভাব এবং খেলোয়াড়ি গুণাবলী নেইমারের মতোই। তিনি মাঠে প্রতিপক্ষকে সম্মান জানালেও, অপমান সহ্য করেন না এবং যথাযথ সময়ে জবাব দেন, যেমনটি ৯৬ মিনিটে বেনফিকার বিপক্ষে গোল করার পর ঘটে।

তাছাড়া, রাফিনিয়ার বিরুদ্ধে বেনফিকার খেলোয়াড়দের সঙ্গে টানাপোড়েনও নেইমারের অভ্যেসের মতো। সেই সময়টা মনে পড়ে, যখন নেইমার রিয়াল মাদ্রিদের খেলোয়াড়দের সঙ্গে একই ধরনের পরিস্থিতিতে জড়িয়ে পড়তেন। তবে, রাফিনিয়া এটা মানছেন যে, এমন একটি ম্যাচে জয়লাভের পর এমন উত্তেজনা সাভাবিক।

এছাড়া, ম্যাচ শেষে রাফিনিয়া সেরা খেলোয়াড় হিসেবে পুরস্কৃত হন, যা ২০১৭ সালে নেইমারও পেয়েছিলেন। এই মিলটি বার্সেলোনার জন্য এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হতে পারে, যেখানে রাফিনিয়া নেইমারের সাফল্যের চিহ্নিত উত্তরসূরি হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছেন।

Leave a Reply