
পটুয়াখালীতে মন্দির নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় একজনের মৃত্যু
পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলায় মন্দির নিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের কৃষ্ণভক্ত ও মতুয়াভক্তদের মধ্যে সংঘর্ষে আহত একজন মারা গেছেন। মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দিবাংসু হাওলাদার (ওরফে কালু, বয়স ৩০) মারা যান।
এই সংঘর্ষটি ১৪ এবং ১৫ জানুয়ারি দুই দফায় ঘটে। প্রথম সংঘর্ষে কৃষ্ণভক্তদের পক্ষ থেকে থানায় হত্যাচেষ্টা মামলা করা হয়েছিল, যা এখন হত্যামামলায় রূপান্তিত হবে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দশমিনা উপজেলার গুলি আউলিয়াপুর গ্রামে প্রায় ৩০ বছর ধরে একটি কৃষ্ণমন্দির রয়েছে, যা নিয়ে মতুয়াভক্তদের সঙ্গে বিরোধ তৈরি হয়। প্রায় এক বছর আগে মতুয়াভক্তরা ওই কৃষ্ণমন্দিরের পাশে তাদের নিজস্ব মন্দির প্রতিষ্ঠা করে পূজা-অর্চনা শুরু করেন। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে উত্তেজনা ছিল।
১৪ জানুয়ারি সন্ধ্যায় কৃষ্ণভক্ত ও মতুয়াভক্তদের মধ্যে কথা-কাটাকাটির পর সংঘর্ষ ঘটে, যাতে দুই পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হন। পরের দিন ১৫ জানুয়ারি সকালেও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে মোট ২৫ জন আহত হন, যাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। গুরুতর আহত দিবাংসু হাওলাদারকে প্রথমে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, পরে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়, যেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুলিশ মামলার তদন্ত করছে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।