
জার্মান চ্যান্সেলরের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সম্প্রতি সুইজারল্যান্ডের দাভোসে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম (ডব্লিউইএফ) সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেছেন। সেখানে তিনি জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজের সঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেছেন। ড. ইউনূসের এই সফরের উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় করা এবং বৈশ্বিক ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশের উন্নয়ন পরিস্থিতি ও বিনিয়োগ সুযোগ সম্পর্কে অবহিত করা।
বৈঠক ও সফরের মূল বিষয়:
- জার্মানির চ্যান্সেলরের সঙ্গে বৈঠক: ড. ইউনূসের বৈঠকটি আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও রাজনৈতিক যোগাযোগের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজের সঙ্গে আলোচনায় বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অবস্থা নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
- বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের সুযোগ: ড. ইউনূসের এই সফরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো ডব্লিউইএফ সম্মেলনে বাংলাদেশের জন্য আলাদা সংলাপ অনুষ্ঠিত হওয়া। বাংলাদেশের জন্য এটি একটি বিরল সুযোগ, কারণ সাধারণত উন্নত দেশগুলোই এমন সম্মেলনে নিজেরা আলাদা সংলাপ আয়োজন করতে সক্ষম। এতে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগের পরিবেশ সম্পর্কে বিশ্বব্যাপী ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা হবে।
- বিনিয়োগের আহ্বান: এই সম্মেলনে বাংলাদেশ তার বিনিয়োগের পরিবেশ সম্পর্কে বিশ্বকে জানাতে চাচ্ছে। প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে ড. ইউনূস আন্তর্জাতিক ব্যবসায়ী নেতাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে উৎসাহিত করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করছেন। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বিনিয়োগ বাড়াতে এবং ব্যবসার পরিবেশকে আরও সহজ করার বিষয়ে আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের মনোযোগ আকর্ষণ করা হবে।
সফরের অন্যান্য দিক:
ড. ইউনূসের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি তারেক মো. আরিফুল ইসলাম, যিনি তাকে সুইজারল্যান্ডে স্বাগত জানান। ২৫ জানুয়ারি এই সফর শেষ করে তিনি দেশে ফিরে আসবেন। তার সফরে অংশগ্রহণকারী আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির মধ্যে ফিনল্যান্ডের চ্যান্সেলর, বেলজিয়ামের রাজা ও থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী উল্লেখযোগ্য।
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সুইজারল্যান্ড সফর বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক ইমেজ তৈরি ও বৈশ্বিক বিনিয়োগকারীদের প্রতি বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানাতে সহায়ক হবে। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের মতো বৃহৎ আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে বাংলাদেশের উপস্থিতি অর্থনৈতিক ও ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করবে।