মেসি কেন বাইডেনের দেওয়া পুরস্কার নিতে যাননি
মাত্র দুই বছরের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের খেলাধুলার জগতে বিপ্লব ঘটিয়েছেন আর্জেন্টাইন সুপারস্টার লিওনেল মেসি। তাঁর হাত ধরে দেশটিতে ফুটবলের জনপ্রিয়তা নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। তবে কেবল ফুটবলের জগতে নয়, শিশুস্বাস্থ্য ও শিশু শিক্ষায়ও মেসির অবদান প্রশংসিত। এই অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ মেসি পেয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান প্রেসিডেনশিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম।
দ্বিতীয় ফুটবলার হিসেবে স্বীকৃতি
নারী ফুটবলার মেগান রাপিনোর পর মেসি হলেন মাত্র দ্বিতীয় ফুটবলার, যিনি এই সম্মান পেলেন। গতকাল রাতে যুক্তরাষ্ট্রের বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছ থেকে পদকটি নেওয়ার কথা ছিল মেসির। তবে ব্যক্তিগত ও পেশাগত কারণে হোয়াইট হাউসের পুরস্কার অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারেননি তিনি।
মেসির বার্তা ও দুঃখ প্রকাশ
অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে না পারায় মেসি দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং অনুপস্থিতির কারণ ব্যাখ্যা করে হোয়াইট হাউসকে একটি চিঠি দিয়েছেন। মেসির ক্লাব ইন্টার মায়ামি এবং ইউরোপের একাধিক সংবাদমাধ্যম এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
ইন্টার মায়ামি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে:
“লিও হোয়াইট হাউসকে একটি বার্তা দিয়েছে। সেখানে সে উল্লেখ করেছে, এই স্বীকৃতি পেয়ে সে অত্যন্ত সম্মানিত এবং সৌভাগ্যবান মনে করছে। তবে সাংঘর্ষিক সূচি ও পূর্বপ্রতিশ্রুতির কারণে সে অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেনি। ভবিষ্যতে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সঙ্গে দেখা করার আশা প্রকাশ করেছে মেসি।”
অন্যান্য পুরস্কারপ্রাপ্তরা
এ বছর মেসি ছাড়াও প্রেসিডেনশিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম পেয়েছেন:
- বাস্কেটবল কিংবদন্তি ম্যাজিক জনসন
- হলিউড তারকা ডেনজেল ওয়াশিংটন এবং মাইকেল জে. ফক্স
- সাবেক ফার্স্ট লেডি হিলারি ক্লিনটন
এছাড়া আরও ১৯ জনকে এই সম্মান প্রদান করা হয়েছে।
হোয়াইট হাউসের মন্তব্য
মেসিকে সম্মাননা প্রদানের বিষয়ে হোয়াইট হাউস এক বিবৃতিতে বলেছে:
“লিওনেল মেসি পেশাদার ফুটবলের ইতিহাসে অন্যতম সফল খেলোয়াড়। পাশাপাশি তিনি ইউনিসেফের শুভেচ্ছা দূত এবং লিওনেল মেসি ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে শিশুস্বাস্থ্য ও শিক্ষার উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন।”
মেসির এই অর্জন কেবল তাঁর ক্রীড়া নৈপুণ্যের স্বীকৃতিই নয়, বরং সমাজসেবায় তাঁর অসামান্য অবদানেরও প্রতিফলন। যুক্তরাষ্ট্রের ফুটবল জনপ্রিয়তায় মেসির প্রভাব ইতিমধ্যে দৃশ্যমান এবং এই পুরস্কার তাঁর বৈশ্বিক প্রভাবকে আরও সমৃদ্ধ করেছে।