২০২৬ বিশ্বকাপের প্রস্তুতির জন্য এ বছর যেসব ম্যাচ পাচ্ছে আর্জেন্টিনা–ব্রাজিল
২০২৫ সাল শুরু হয়েছে, আর এরই মধ্যে লিওনেল মেসির নেতৃত্বে আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ের দুই বছর পেরিয়ে গেছে। ২০২৬ বিশ্বকাপ শুরু হতে বাকি মাত্র দেড় বছর। আসন্ন বিশ্বকাপ সামনে রেখে এই বছরটি দলগুলোর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শিরোপাপ্রত্যাশী দলগুলো নিজেদের শক্তি-দুর্বলতা চিহ্নিত করে প্রস্তুতি সম্পন্ন করার জন্য এই সময়টিকে কাজে লাগাতে চায়।
বিশ্বকাপ ফুটবলের আলোচনায় সবার আগে আসে আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলের নাম। তবে প্রশ্ন হলো, এ দুই দল আসন্ন বিশ্বকাপের প্রস্তুতির জন্য কেমন সুযোগ পাচ্ছে? তারা কি যথেষ্ট ম্যাচ খেলতে পারবে নিজেদের ঝালিয়ে নেওয়ার জন্য?
আর্জেন্টিনার প্রস্তুতি পরিকল্পনা
লিওনেল স্কালোনির দল আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ বাছাইয়ে এ বছর মোট ৬টি ম্যাচ খেলবে। বর্তমানে তারা ১২ ম্যাচে ২৫ পয়েন্ট নিয়ে বাছাইপর্বের শীর্ষে রয়েছে এবং দ্বিতীয় স্থানে থাকা উরুগুয়ের চেয়ে ৫ পয়েন্টে এগিয়ে আছে। যদিও বিশ্বকাপে জায়গা নিশ্চিত করার দিক থেকে চ্যালেঞ্জ কম, তবে ছন্দ ধরে রাখা এবং দলের সমন্বয় ঠিক করা তাদের জন্য প্রধান লক্ষ্য।
ম্যাচ সূচি
- মার্চ:
- ২০ মার্চ: উরুগুয়ের বিপক্ষে।
- ২৫ মার্চ: চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিলের বিপক্ষে।
- জুন:
- চিলি ও কলম্বিয়ার বিপক্ষে দুটি ম্যাচ।
- সেপ্টেম্বর:
- ভেনেজুয়েলা ও ইকুয়েডরের বিপক্ষে দুটি ম্যাচ।
বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচ ছাড়াও অক্টোবর ও নভেম্বরে আর্জেন্টিনা প্রীতি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবে। এছাড়া, ফিনালিসিমায় ইউরো চ্যাম্পিয়ন স্পেনের মুখোমুখি হবে তারা, তবে এ ম্যাচের দিনক্ষণ এখনো চূড়ান্ত হয়নি।
ব্রাজিলের প্রস্তুতি পরিকল্পনা
অন্যদিকে, পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ব্রাজিলের অবস্থা তুলনামূলকভাবে নাজুক। কাতার বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নেওয়ার পর দলটি ধারাবাহিকভাবে ব্যর্থতার মুখ দেখছে।
ম্যাচ সূচি
- মার্চ:
- ২০ মার্চ: কলম্বিয়ার বিপক্ষে।
- ২৫ মার্চ: আর্জেন্টিনার বিপক্ষে।
- জুন:
- ৪ জুন: ইকুয়েডরের বিপক্ষে।
- ৯ জুন: প্যারাগুয়ের বিপক্ষে।
- সেপ্টেম্বর:
- ৯ সেপ্টেম্বর: চিলির বিপক্ষে।
- ১৪ সেপ্টেম্বর: বলিভিয়ার বিপক্ষে।
অক্টোবর ও নভেম্বরে প্রীতি ম্যাচ খেলার কথা রয়েছে ব্রাজিলের।
বিশেষ চ্যালেঞ্জ ও লক্ষ্য
- আর্জেন্টিনা:
- মেসির ফিটনেস ধরে রাখা।
- নতুন প্রতিভাদের নিয়ে দলের সমন্বয় তৈরি করা।
- চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিলসহ শক্তিশালী দলগুলোর বিপক্ষে নিজেদের শক্তি প্রমাণ করা।
- ব্রাজিল:
- ধারাবাহিকতার অভাব কাটিয়ে ওঠা।
- নতুন কোচ দরিভাল জুনিয়রের অধীনে দলকে শক্তিশালী করা।
- বাছাইপর্বের ম্যাচগুলোতে ভালো পারফরম্যান্স নিশ্চিত করে দলের মনোবল বাড়ানো।
২০২৫ সাল দুই দলের জন্যই বিশ্বকাপের প্রস্তুতির একটি গুরুত্বপূর্ণ বছর হতে যাচ্ছে। দলগুলো এ সময় নিজেদের ছন্দ ও শক্তি পুনরুদ্ধার করে আসন্ন বিশ্বকাপের জন্য নিজেদের সেরা অবস্থানে নিয়ে যেতে চায়।